রাজকীয় বিলাস ব্যসন। ছবি: বেলগাদিয়া প্রাসাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত।
এ যেন সাক্ষাৎ ইতিহাস! সবুজ প্রকৃতির কোলে এক হাজারেরও বেশি সময়ের ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ময়ূরভঞ্জের রাজপ্রাসাদ। তবে এখন এই রাজপ্রাসাদে থাকতে চাইলে রাজা কিংবা রানি হতে হবে না। ভ্রমণ পিপাসু হলেই চলবে। কারণ ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ বংশের এই ঐতিহাসিক প্রাসাদটিকে এখন বানিয়ে ফেলা হয়েছে একটি বিলাসবহুল হোম স্টে। ময়ূরভঞ্জের রাজাদের বংশধররা প্রাচীন এই রাজপ্রাসাদকে নতুন করে গড়ে তুলেছেন পর্যটন বান্ধব করে। অর্থের বিনিময়ে রাজকীয় বিলাস ব্যসনে এখানে সময় কাটাতে পারেন পর্যটকরা।
কী দেখবেন
কলকাতা থেকে সড়ক পথে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্ব ময়ূরভঞ্জের। নিবিড় বনাঞ্চলের মধ্যেই এখানে রয়েছে নানা প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান। হাজার বছরের বেশি প্রাচীন ভঞ্জ রাজাদের প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ, দেওকুণ্ড, ভীমকুণ্ড দেখতে দেখতে মনে ভরে যাবে। ঘুরে দেখতে পারেন স্থানীয় আদিবাসী গ্রামও। রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় মাপের পাহাড়ি ঝর্না। এখান থেকে বেশি দূরে নয় শিমলিপাল।
কোথায় থাকবেন
সবচেয়ে ভাল থাকার জায়গাটি অবশ্যই ময়ূরভঞ্জের প্রাসাদ। প্রাসাদটি প্রাচীন হলেও এতে এসি থেকে ওয়াইফাই, আধুনিক বিলাস ব্যসনের সব উপকরণই মজুত রয়েছে। থাকার খরচের মধ্যেই ধরা আছে সকালের জলখাবার ও বিকেলের চা। দুপুরের খাবার ও নৈশভোজের জন্য এখানে বিশেষ ধরনের স্থানীয় খাবার মেলে যা এখানকার আদিবাসী মানুষদের খাদ্যাভ্যাস থেকে অনুপ্রাণিত। পাশাপাশি, এখানে মেলে বাঙালি, রাজস্থানী ও নেপালি খাবারও।
কী করে যাবেন
কলকাতা থেকে যেতে চাইলে সবচেয়ে সহজ সড়ক পথে যাওয়া। নিজস্ব গাড়ি থাকলে কাছাকাছি জায়গাগুলি ঘুরে দেখতেও সুবিধা হবে। চাইলে ট্রেনে করেও যাওয়া যেতে পারে। নিকটবর্তী স্টেশন বাড়িপাদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy