অক্ষয়তৃতীয়ায় দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। বুধবার মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের পর পুণ্যার্থীদের ঢল নামবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁদের ভিড়ে কি আপনিও রয়েছেন? তবে দিঘায় নতুন মন্দির উদ্বোধনের দিন জগন্নাথের দর্শনের জন্য অফিস থেকে ছুটিও নিয়ে নিয়েছেন বুঝি? তা হলে ছোট এই ছুটিটিকে পুরোপুরি উপভোগ করে আসুন। সমুদ্রসৈকতের কাছেই আরও ৫টি মন্দির রয়েছে, সেখানেও ঢুঁ মেরে আসতে পারেন।
চন্দনেশ্বর মন্দির: দিঘার রেলস্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শিবমন্দির। ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দিরের দরজা। পুণ্যার্থীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই চন্দনেশ্বর মন্দির।কার্যত ওড়িশায় অবস্থিত চন্দনেশ্বরের কাছেই রয়েছে তালসারির সৈকত।

চন্দনেশ্বর মন্দির। ছবি: সংগৃহীত।
নেহরু বাজার কালীমন্দির: ওল্ড দিঘার নেহরু বাজার এলাকায় রয়েছে এই মন্দিরটি। মন্দিরের দরজা খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা, আবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। দক্ষিণাকালীর এই মন্দিরটি বানিয়েছিল নেহরু মার্কেট বাজার ব্যবসায়ী সমিতি।

নেহরু বাজার কালীমন্দির। ছবি: সংগৃহীত।
ভবার হরবোলা মন্দির: জনপ্রিয় এই মন্দিরে খুব কম টাকার বিনিময়ে নিরামিষ ভোগ খাওয়ানো হয় দুপুরে। মা কালীর প্রতি ভবেন্দ্রমোহন রায়চৌধুরী ওরফে ভবাপাগলার আরাধ্যা এই কালীমন্দির ‘হরবোলা মায়ের মন্দির’ নামেই পরিচিত।

ভবার হরবোলা মন্দির। ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্রের পাশে শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় স্থান। দিঘার মন্দিরগুলিতে তাই অন্য রকমের আমেজ পাওয়া যায়। কেবল তীর্থযাত্রীদের জন্য নয়, সফরপ্রেমীরাও ঘুরে দেখতে পারেন মন্দিরগুলি।