চাইলে থাকতে পারেন শাহরুখ, জাহ্নবী বাড়িতেও। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
শাহরুখের বাড়ি দেখেছেন? কিংবা সলমনের?
টেলিভিশনের পর্দা ছাড়াও, ইদানীং সমাজমাধ্যমে মাঝেমধ্যে বি-টাউনের তারকাদের বিলাসবহুল বাংলোর ছবি, ভিডিয়ো দেখা যায়। কখনও কোনও তারকা নিজেই তাঁর অন্দরমহলের ছবি দেন। সেই ভিডিয়ো বা ছবিতেই দেখা যায়, কারও ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে দেখা যাচ্ছে নীল সমুদ্র, কারও আবার স্নানঘরের রূপেই চোখ জুড়িয়ে যায়। তা দেখেই কেউ দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। কারও মনে হয়, তো এ তো স্বপ্ন! দূর থেকে দেখেই তুষ্ট থাকতে হবে।
কিন্তু এই ভাবনা বদলেরও সময় এসেছে। চাইলেই আপনি থাকতে পারবেন শাহরুখ খান, জাহ্নবী কপূর, যুবরাজ সিংহদের বিলাসবহুল বাড়ি বা বাংলোয়। শুধু একটু বড় অঙ্কের গ্যাঁটের কড়ি খসাতে হবে সে জন্য। জনপ্রিয় একটি বাণিজ্যিক সংস্থা এই সুযোগ করে দিচ্ছে। ইদানীং বেড়াতে বা কাজে গিয়ে হোটেলে ওঠার বদলে কোনও ফ্ল্যাট, বাড়ি, বাংলো বেশ কয়েক দিনের জন্য ভাড়ায় নেওয়ার চল হয়েছে। এর একাধিক সুবিধাও আছে। অনেক ক্ষেত্রে হোটেলে থাকার চেয়ে এ ভাবে থাকলে খরচ কম হয়। আবার এখানে রান্নার জিনিসপত্র, ফ্রিজ থাকায় নিজের মতো রান্না করে খাওয়া যায় বা ঘরোয়া পরিবেশে থাকা যায়।
এমনই একটি বাণিজ্যিক সংস্থার হাত ধরেই আপনিও পা রাখতে পারেন তারকাদের বাড়ির অন্দরে।
শাহরুখের বাড়ি
‘মন্নত’-এর কথা অনেকেই জানেন। মুম্বইয়ের বিলাসবহুল এই বাড়িতেই সপরিবার থাকেন শাহরুখ। তবে ‘মন্নত’ নয়, আপনি চাইলে থাকার সুযোগ পেতে পারেন দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কে শাহরুখ, গৌরীর আর একটি বাড়িতে। বর্তমানে মুম্বই নিবাসী হলেও শাহরুখ-গৌরীর বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে দিল্লির এই বাড়িটির সঙ্গে। শাহরুখের স্ত্রী একজন নামাজাদা অন্দরসজ্জা শিল্পী। বাড়িটি তিনি নিজে হাতে সাজিয়েছেন। বাড়ির আনাচকানাচে তারকার ছোঁয়া লাগা নানা রকম জিনিসপত্রও রয়েছে। তাঁর সন্তানদের ছোটবেলার জিনিসপত্রও শোভা পায় এখানে।
গত ৩ বছর ধরে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে বাড়িটি। শোনা যায়, এখানে এক রাতের ভাড়া ২ লক্ষ টাকা। বিলাসবহুল এই বাড়িতে গেলে, প্রথমেই অতিথি পাবেন গৌরী খানের হাতে লেখা অভ্যর্থনাপত্র। থাকবে তারকা দম্পতির পছন্দের খাবার দিয়ে সাজানো বিশেষ মেনু, শাহরুখের হিট ছবি দেখার ব্যবস্থা। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিলাসবহুল গাড়িতে অতিথিকে আনা হবে এবং পৌঁছেও দেওয়া হবে।
জাহ্নবীর বাংলো
বলিউডে অভিনেত্রী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন জাহ্নবী কপূর। চেন্নাইয়ে তাঁরই বিলাসবহুল বাড়িতে এখন থাকার সুযোগ পাবেন অতিথিরা। বাড়িটি কিনেছিলেন জাহ্নবীর প্রয়াত মা, খ্যাতনামা অভিনেত্রী শ্রীদেবী। তবে পুরো বাংলো নয়, একটি শোয়ার ঘর এবং স্নানঘর-সহ বেশ কিছুটা জায়গা ব্যবহারের ছাড়পত্র পাবেন অতিথিরা। প্রতি রাতে দু’জন মাত্র অতিথি থাকতে পারবেন এখানে।
চেন্নাইয়ের আক্কারাই সমুদ্রসৈকতের কাছে ইস্ট কোস্ট রোডে রয়েছে বাংলোটি। বিশাল বাগানে শোভা পাচ্ছে সাদা বাড়িটি। সাজানো বাগানে রয়েছে ফোয়ারা।
ছিমছাম সাজানো বাংলোটির সর্বত্রই রুচির ছাপ। অতিথিরা একটি ঘর ব্যবহার করতে পারলেও পুরো বাংলো তাঁরা ঘুরে দেখতে পারবেন। কপূর পরিবারের বহু স্মৃতি জড়িয়ে এখানে। রয়েছে তাঁদের ব্যবহার করা জিনিসপত্রও। সেই সব স্মৃতিকথা তুলে ধরা হবে অতিথিদের কাছে। এখানে অতিথিদের জন্য মেনুতে থাকবে দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় পদ, অন্ধ্রের বিরিয়ানি, পেসারাত্তু দোসা, পালকোভা। বিশাল বাড়িতে রয়েছে খুব সুন্দর একটি সুইমিং পুলও।
এখানে থাকতে গেলে, কত টাকা ভাড়া দিতে হবে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে টাকার অঙ্ক যে বড়মাপের হবে, তা অনুমেয়।
যুবরাজের বাংলো
প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহের বাংলোও রয়েছে এই তালিকায়। গোয়ায় সমুদ্রের ধারে পাহাড়ের উপরে ছোট্ট সুন্দর বাংলো। একসঙ্গে ৬ জন এখানে থাকতে পারবেন। ভিতরে রয়েছে সুইমিং পুল।
ছিমছাম সাজানো সাদা বাংলোটি। বিভিন্ন জায়গায় সযত্নে সাজানো গাছ। তিনটি শোয়ার ঘর রয়েছে। ভিতরে রয়েছে অনেকটা খোলা জায়গাও। যুবরাজের ভীষণ প্রিয় এই বাংলোটি। প্রাক্তন ক্রিকেটার নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। স্ত্রী এবং কাছের বন্ধুদের সঙ্গে এখানে সময় কাটিয়েছেন তিনি। এই বাংলো জুড়ে রয়েছে তাঁর নানা স্মৃতি। তবে এই বাংলোর ভাড়া সম্পর্কেও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy