প্রস্তুতি ম্যাচে দুই কোচ হাবাস ও চিমা। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
আসল ‘ডন’-এর হাজির থাকার প্রবল সম্ভাবনা আছেই। তবে এখনই হাজির থাকার কার্যত কথা দিয়ে দিয়েছেন নতুন ‘ডন’-এর মনপসন্দ ‘জংলি বিল্লি’। ১২ অক্টোবর যুবভারতীতে এঁদের নিয়েই জাঁকজমকের উদ্বোধন ঘটতে চলেছে আইএসএলের।
কে আসল ডন? বলিউডের বেতাজ বাদশা অমিতাভ বচ্চন, আবার কে! যে ডনের জোব্বা পরবর্তী কালে রিমেক-এ শাহরুখ খান গায়ে চড়িয়েছেন। আর সেই ডনের প্রিয়পাত্রী ‘জংলি বিল্লি’, অর্থাৎ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
আইএসএল সূত্রের খবর, অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকরের পর উদ্যোক্তারা যুবভারতীতে নাকি যাঁর হাজির থাকার সবুজ সঙ্কেত পেয়ে গিয়েছেন তিনি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সচিন-সৌরভ-রণবীর কপূর-জন আব্রাহাম-অভিষেক বচ্চনদের মহাতারকা সমাবেশে যদি অমিতাভ-প্রিয়ঙ্কা যোগ হয়, তা হলে শহরে আইএসএলের উদ্বোধন এককথায় গালা উদ্বোধন হতে চলেছে।
এ দিকে, মঙ্গলবারই ভিসা সমস্যা মিটে গেল আটলেটিকো দে কলকাতা-র বাংলাদেশি মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলামের। ওপার বাংলা থেকে আজ, সপ্তমীর রাতেই কলকাতায় পা দিচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ফোনে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক মামুনুল বললেন, “কলকাতায় খেলা আর অষ্টমীতে কলকাতার পুজো দেখার শখ ছিল বহু দিনই। এ বার একসঙ্গে দু’টোই পূর্ণ হতে চলেছে। তবে এ সবও গৌণ। আমার আসল লক্ষ্য, আটলেটিকো দে কলকাতার জার্সি গায়ে ভাল খেলা।” ভিসা সমস্যার জন্য আসতে দেরি হচ্ছিল মামুনুলের। তবে এই মধ্যেও তিনি বসে থাকেননি বলে জানাচ্ছেন শেখ জামাল ধানমন্ডির ফুটবলার। ক্লাবের সঙ্গেই অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছেন।
ষষ্ঠীর সন্ধেয় মামুনুল যখন ঢাকায় বসে প্রহর গুনছেন কলকাতায় খেলতে আসার ব্যাপারে, তখন তাঁর দল আটলেটিকো দে কলকাতা শহরে পা দেওয়ার পর প্রথম অনুশীলন ম্যাচ খেলল চিমা ওকোরি একাদশের বিরুদ্ধে। ম্যাচে কলকাতার আইএসএল চ্যালেঞ্জাররা বিদেশি উইঙ্গার জোফ্রের গোলে জিতল ১-০। কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস প্রথমার্ধে রাকেশ মাসি, কেভিন লোবো, ফিকুরু, বেটে, বলজিৎদের খেলানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে সঞ্জু প্রধান, মহম্মদ রফি, রফিক, মোহনরাজদের নামিয়েও দেখে নেন। তবে মার্কি ফুটবলার লুই গার্সিয়া বা দ্রুত গতির চেক উইঙ্গার জেকব পদানিকে এ দিন মাঠে নামাননি কোচ হাবাস।
সোমবার যুবভারতীর টার্ফ নিয়ে গার্সিয়া কিছুটা দ্বিধা ব্যক্ত করলেও পদানি কিন্তু এ দিন বলেছেন, টার্ফে খেলাই তাঁর সুবিধা। “আমি স্পিডে আক্রমণ করতে ভালবাসি। টার্ফে বল দ্রুত যায় সুতরাং সুবিধাই হবে আমার। দেশেও এ রকম কৃত্রিম সারফেসে খেলার অভ্যাস আছে আমার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy