হোক না প্র্যাকটিস ম্যাচ। তাতে কী? মরসুমের প্রথম ‘মিনি-ডার্বিতে’ মহমেডানকে ২-০ হারাল মোহনবাগান।
দলের খেলায় অবশ্য একেবারেই খুশি নন বাগান-টিডি সুভাষ ভৌমিক। বরং ম্যাচ শেষে সুভাষ বললেন, “ম্যাচ জিতেছি ঠিকই। কিন্তু এক কথায় বলতে গেলে আমার দল আজ কুৎসিত খেলেছে। কিছুই ঠিক মতো হয়নি।”
প্রাক্ মরসুমে এই প্রথম যুবভারতীর অ্যাস্ট্রোটার্ফে খেলল মোহনবাগান। যে মাঠে গত কয়েক ম্যাচের মতোই পাসিং ফুটবল খেলতে ব্যর্থ সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। কারণ হিসাবে ফুটবলারদের পজিশনিং-কেই দায়ী করলেন সুভাষ। বলে দিচ্ছেন, “আজ আমরা পাসিং ফুটবল খেলতে পারলাম না। বল ছেড়ে ফুটবলারদের পজিশনিং খুূব খারাপ হচ্ছিল। কেউ ঠিকঠাক জায়গায় থাকতে পারছিল না। এই সমস্যার তাড়াতাড়ি সমাধান করতে না পারলে মুশকিল হবে।”
প্রথমার্ধে জনি রাউথ-ধনচন্দ্র সিংহ ও কিংশুক দেবনাথকে নিয়েই রক্ষণ সাজিয়েছিলেন বাগান টিডি। আক্রমণে ছিলেন জেজে-কাতসুমি-মণীশ ভার্গব ও সাবিথ। গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার পরে আবার মহমেডানের বিরুদ্ধেও প্রথম গোল করে ছন্দে সাবিথ। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য উজ্জ্বল হাওলাদার, শৌভিক ঘোষ, পঙ্কজ মৌলা, রণদীপ সিংহদের নামিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে নেন সুভাষ। প্রথমবার মোহনবাগান জার্সিতে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেললেন বলবন্ত সিংহও। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তে নামেন প্রাক্তন চার্চিল স্ট্রাইকার। কিন্তু ম্যাচ ফিট না থাকায় কয়েক মিনিট পরেই তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। মহমেডান আবার দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝড় তুললেও সহজ সুযোগ নষ্ট করে। শেষের দিকে পঙ্কজ মৌলার দুর্দান্ত গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে বাগান।
ফুটবলারদের চোটের আশঙ্কা থাকলেও, যুবভারতীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সুভাষ। তাঁর কথায়, “ফুটবলাররা চোট পেতে পারে। কিন্তু এখন থেকেই যদি সবাই অভ্যস্ত না হয় যুবভারতীর মাঠের সঙ্গে তা হলে পরে সমস্যা হবে।” কোচের সঙ্গে একমত লালকমল ভৌমিকও, “এখনও কম্বিনেশন তৈরি হতে সময় লাগবে। ফিটনেসের দিক দিয়ে খুব ভাল অবস্থায় নেই আমরা।” আর সোনি নর্দি? যাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই মেতেছে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। হাইতি স্ট্রাইকার প্রসঙ্গে সুভাষ বলছিলেন, “আগে দেখতে হবে সোনিকে। তবে ভাল ফুটবলার বলেই ওকে কর্তারা সই করিয়েছে এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।”
এ দিন আবার আইএফএ-তে নতুন মরসুমের জন্য সই করলেন জেজে, শেহনাজ সিংহ, রণদীপ সিংহ ও সতীশ সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy