অন্তিমে লগ্নে পৌছে যাওয়া দু’হাজার চোদ্দোয় বিশ্বটেনিসের চমকপ্রদ তথ্য যদি হয়, ফ্যাব ফোরের বাইরে কারও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় (যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে মারিন চিলিচের খেতাব)। কিংবা আইপিটিএলের প্রথম বছরেই রজার-জোকার দ্বৈরথে মশালা টুর্নামেন্ট সুপার হিট, তা হলে আসন্ন দু’হাজার পনেরোর শুরুতেই মেগা খবর হতে চলেছে একশো ভাগ সুস্থ রাফার প্রত্যাবর্তন!
রাফায়েল নাদাল বলে দিচ্ছেন, “আমি এখন দারুণ আছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড কঠিন প্র্যাকটিস করছি। খাটানটা অনেক বাড়িয়েছি। এ বছর তো অনেকগুলো অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে! সবশেষে যেটা, সেই অ্যাপেনডিক্স অপারেশন নিয়েও আর বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই আমার।”
বছরটায় বিশ্বরেকর্ড গড়া নবম ফরাসি ওপেন খেতাব জিতলেও কেরিয়ারের বৃহত্তম ধাক্কাটাও খেয়েছেন নাদাল। নিজেই বলছেন, “এ বছর অস্ট্রেলীয় ওপেন ফাইনালে পিঠের ব্যথায় কাবু হয়ে ওয়ারিঙ্কার কাছে হারতে হওয়াটা আমার টেনিস জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। কারণ, ওই দিন পুরো ফিট থাকলে আমিই জিততাম।” পিঠের ব্যথা। মাঝেমধ্যে হাঁটু আর গোড়ালির পুরনো যন্ত্রণা। সবশেষে অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচারচোট আর অসুস্থতায় বছরভর জেরবার হওয়া নাদালকে শেষমেশ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন আর এটিপি ট্যুর ফাইনাল্স থেকে নামই তুলে নিতে হয়। তা সত্ত্বেও স্প্যানিশ সুপারস্টারকেই দিনকয়েক আগে বিখ্যাত মার্কিন ব্র্যান্ড টমি হিলফিঙ্গার তাদের নবতম মডেল-কাম-অ্যাম্বাস্যাডর করেছেন।
শ্যুটিংয়ে কেবল নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাসটুকু পরা পোশাকহীন নাদালকে ক্যামেরাবন্দি করার আগে ডিজাইনারের মন্তব্য, “টেনিস গ্রেট পুরো কাজটাই দারুণ স্পিরিটে, মজার সঙ্গেই করেছেন।” আর স্বয়ং নাদাল কী বলছেন? “বুঝতে পারছি আমার ভেতরের সেই পরিচিত আর পুরনো আত্মবিশ্বাসটা আবার ফিরে আসছে। নিজেকে পুরো ফিট করে তোলার প্রচেষ্টায় মনের সাড়াটা ভীষণ জরুরি। সেই দরকারি ফুরফুরে ভাবটা নিজের ভেতর টের পাচ্ছি।”
মেলবোর্নে ১৯ জানুয়ারি থেকে নতুন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে নামার আগে প্রস্তুতি টুর্নামেন্টও চূড়ান্ত করে ফেলেছেন নাদাল। ৫ জানুয়ারি থেকে দোহায় কাতার ওপেন খেলবেন। কিন্তু অস্ট্রেলীয় ওপেনের ঠিক আগের সপ্তাহে সিডনি বা অকল্যান্ড ওপেন না খেলে অনেক আগে থেকে মেলবোর্নে প্র্যাকটিসে নেমে পড়বেন। “এখন প্রতি দিন ঠিক সেই আগের মতো অনেক ঘণ্টা করে ট্রেনিং করতে পারছি। ম্যারাথন প্র্যাকটিসটা আমার শরীর আবার নিতে পারছে দেখেটেখে নিজের মনেই খুব ভাল লাগছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পাঁচ মাস আগেও আমার মনে হত, হয়তো আর জীবনে একটাও শট মারতে পারব না! কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, নতুন মরসুম ভাল ভাবে শুরু করতে যেরকম প্রস্তুতি দরকার, ঠিক তেমনই হচ্ছে আমার।”
ফেডেরার তেত্রিশেও ভাবছেন, ২০১৫-এ নিজের ওয়ার্কলোড বাড়ানোর কথা! জকোভিচের নতুন বছরের শপথযে করে হোক নাদাল-পাহাড় টপকে অধরা ফরাসি ওপেন জয়। তিনিনাদাল কী ভাবছেন? “নতুন মরসুমের গোড়ার দিকে প্রত্যেকটা ম্যাচ যতক্ষণ বেশি সম্ভব ম্যারাথন খেলার চেষ্টা করব। যদি অবশ্য প্রতিপক্ষ আমাকে সেই সুযোগ দেয়, সাততাড়াতাড়ি নিজে হেরে না বসে! কারণ, যত বেশি সময় ধরে কোনও ম্যাচ খেলব, পরের রাউন্ডের জন্য তত বেশি ম্যাচ-কন্ডিশনে থাকব। আমার টেনিসে সব সেই আগের মতোই আছে। শুধু ম্যাচ কন্ডিশন বাদে। আবার এক-এক সময় ভাবছি, আরে, ম্যাচই না পেলে আমি ম্যাচ কন্ডিশনে আসব কোথ্বেকে!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy