ছ’টা দিন বাকি মোটে, কিন্তু সেই অপেক্ষাটাও যেন সহ্য হচ্ছে না নাইট অধিনায়কের। পারলে এখনই নেমে পড়েন গৌতম গম্ভীর!
বৃহস্পতিবার আবু ধাবির নেটে ঢুকে রবিন উথাপ্পার মনে পড়ে গেল আট বছর আগে এক ভারত-পাকিস্তান ওয়ান ডে যুদ্ধের কথা! ২০০৬ সালে ভারতীয় দলের সঙ্গে মরু শহরে তো খেলতে এসেছিলেন তিনি।
কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোরের অসম্ভব ভাল লাগছে আইপিএল সেভেন শুরুর আগে টিমের বোঝাপড়ার ছবি। প্রার্থনা করছেন, গোটা আইপিএল মরসুম যেন সেটা একই রকম থাকে।
টুকরো-টুকরো ছবি। যা পরিষ্কার দিচ্ছে আইপিএল যুদ্ধের আগে টিম কেকেআরের মননকে।
নাইটরা ফুরফুরে।
প্রস্তুতি পুরোদমে। সবিস্তার...
রবিন উথাপ্পা যেমন। নাইট সংসারের নব্য সদস্য। যিনি আবু ধাবিতে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে প্র্যাকটিস শেষে টুইট করলেন, ‘কেকেআরের সঙ্গে প্রথম নেট সেশনটা সত্যিই ভাল হল। আশা করি, পুরো মরসুমটাই এমন ভাল কাটবে।’ এখানেই শেষ নয়। প্র্যাকটিসের পর স্থানীয় এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নাটকী ব্যাটসম্যান বলে দিলেন, “২০০৬-এ এখানে এসেছিলাম দু’টো ভারত-পাকিস্তান ওয়ান ডে খেলতে। আজ যখন নেটে ব্যাটিং শুরু করলাম, তখন সে দিনের সে কথাই মনে পড়ছিল।” আর আইপিএল-প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমাদের দলটা তো খুবই ভাল। কিন্তু এটা তো টি টোয়েন্টি। ম্যাচের দিন যে দল ভাল খেলে, তারাই জেতে। আসলে এই ধরনের ক্রিকেটে ছন্দে থাকাটাই আসল কথা। যারা ছন্দে থাকবে, তারাই ভাল করবে। তাই ভাল দল থাকলেও ছন্দে থাকাটা খুব জরুরী।”
এবং এখানেই শেষ নয়। উথাপ্পার মনে হচ্ছে, আইপিএলে যে ক’টা ফ্র্যাঞ্চাইজিতে তিনি খেলেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা পাচ্ছেন নাইট সংসারে। বলছেন, “আমি তো আইপিএলে তিনটে দলে খেলেছি। কিন্তু কেকেআরে যা অভ্যর্থনা ও উষ্ণতা পাচ্ছি তার সত্যিই জবাব নেই। এটা সত্যিই একটা পরিবারের মতো। এই পরিবারে প্রত্যেকেরই যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে, সে ভাবেই তাদের যত্নও নেওয়া হয়।”
আর তাঁর অধিনায়ক?
আগামী ১৬ এফ্রিল আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কেকেআর। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে। কিন্তু নাইট অধিনায়ক এখন থেকেই ফুটতে শুরু করে দিয়েছেন। এ দিন প্র্যাকটিস শেষে গৌতম গম্ভীর টুইট করে দেন, ‘মাঠে নামার জন্য আর তর সইছে না।’ মাঠের বাইরে থেকেও কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোরের আবার মাঠের পরিবেশটা বেশ ভাল লাগছে। তিনিও টুইট করেছেন, ‘ছেলেদের উৎসাহ ও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া দেখার মতো। আশা করি সারা মরসুমেই এমন থাকবে।”’
অন্য দিকে, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস দলের অভিযান এবার পুরো নতুন ভাবে শুরু করতে চান তাদের কোচ গ্যারি কার্স্টেন। দিল্লিই একমাত্র দল, যারা এ বার কোনও ক্রিকেটারকে রেখে দেয়নি। পুরো নতুন দল নিয়ে এ বার নামছে তারা। কার্স্টেন বলেন, “নিলামে এ বার আমরা এটাই ঠিক করেছিলাম যে, পুরো নতুন দল নিয়ে মাঠে নামব। সেটা না ভুল, তা না ভেবেই সিদ্ধান্তটা হয়েছিল।” নতুনদের নিয়ে অবশ্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন কার্স্টেন। শুরুতে দলের সব ক্রিকেটারদের তাঁদের নিজস্ব অবস্থায় দেখে নিচ্ছেন। এ দিন দিল্লি থেকে ফোনে লক্ষ্মীরতন শুক্ল বললেন, “এখন কোচ আমাদের কিছুই বলেননি। সম্ভবত উনি প্রত্যেককে আলাদা আলাদা করে দেখে নিচ্ছেন। যে যেমন, তেমন ভাবেই প্র্যাকটিস করছি আমরা। আজ যেমন নেট প্র্যাকটিস ছিল না। শুধু জিম করেছি। কাল সকালে আবার পালামের মাঠে নেট করতে যাব।” কার্স্টেন নিজেও একই কথা বলছেন। তাঁর মতে, “একে অন্যকে জানার জন্যই আট দিন আগে ক্রিকেটারদের এক জায়গায় আনা হয়েছে। এই ক’দিনে ওরা নিজেদের জানুক। একে অপরের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে উঠুক। তার পর আসল প্রস্তুতি।” শনিবারই দুবাই উড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ওখানে গিয়েই আসল প্রস্তুতি শুরু হবে। শারজায় তাদের প্রথম ম্যাচ ১৭ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy