ধোনির সঙ্গে যুবরাজ। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।
২০১৯ বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় নির্বাচকরা যে তাঁর কথা ভাবছেন না, সেই ইঙ্গিত মহেন্দ্র সিংহ ধোনিই দিয়েছিলেন। তবে কঠিন সময়ে তাঁর পাশে যে ধোনি ছিলেন না, সেটাও জানালেন যুবরাজ সিংহ।
২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন যুবরাজ। প্রত্যাবর্তনে নজরও কেড়েছিলেন। কটকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে উপহার দিয়েছিলেন কেরিয়ারের সেরা ১৫০ রানের ইনিংস। কিন্তু ক্রমশ তাঁর ব্যাটে রান ফুরিয়ে আসতে থাকে। ২০১৭ সালেই ইংল্যান্ডে হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চার ইনিংসে করেন ১০৫ রান। ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় বিরাট কোহালির দল। তার পর ক্যারিবিয়ান সফরেও রান পাননি তিনি। নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৩০ জুন কেরিয়ারের শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। যাতে করেছিলেন ৩৯। যুবি অবসর নেন দু’বছর পর। ২০১৯ সালের জুনে।
এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুবরাজ সিংহ বলেছেন, “আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করছিলাম। কিন্তু ধোনি আমার সামনে ২০১৯ বিশ্বকাপের ব্যাপারে সঠিক ছবি তুলে ধরেছিল। বলেছিল, নির্বাচকরা আমার কথা ভাবছেন না। ওর পক্ষে যা সম্ভব তা করেছিল ধোনি। কিন্তু কখনও কখনও অধিনায়কের পক্ষে সবাইকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব হয় না। বিশ্ব জুড়েই অধিনায়ককে কথা শুনতে হয়। তা সে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ই হোক বা রিকি পন্টিং। কারও পাশে থাকা বা না-থাকা ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। ধোনি আমাকে পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরেছিল। ওর পক্ষে যতটা সম্ভব তা করেছিল।”
আরও পড়ুন: আইপিএলে ‘বোল্ড’ চিনের স্পনসর
আরও পড়ুন: ধোনি এক জনই হয়, তুলনা উড়িয়ে দিলেন রোহিত
২০১১ বিশ্বকাপে যুবি ছিলেন প্রতিযোগিতার সেরা ক্রিকেটার। ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। যুবি বলেছেন, “২০১১ বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত আমার উপর ধোনির প্রচুর ভরসা ছিল। আমাকে বলত যে তুমিই ‘মেন প্লেয়ার’। কিন্তু অসুস্থতা থেকে ফেরার পর অনেক বদলে গিয়েছিল দলের পরিস্থিতি। সেই বদলগুলো নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। আসলে ক্যাপ্টেনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় দল। ২০১৫ বিশ্বকাপের ব্যাপারে যেমন দলে না থাকার ব্যাপারে কোনও কারণ নির্দিষ্ট করা মুশকিল। এগুলো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়ে ওঠে।”
২০১২ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হন যুবি। প্রশ্নের মুখে পড়ে তাঁর কেরিয়ার। ২০১৩ সালে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপের দলে তিনি ছিলেন না। যুবির কথায়, “অধিনায়ক হিসেবে সবাইকে সব সময় খুশি করা সম্ভব নয়, এটা আমি বুঝি। কারণ, দিনের শেষে দল কেমন করবে, সেটাতেই থাকে প্রাধান্য। প্রত্যেক ক্যাপ্টেনের নিজস্ব পছন্দের ক্রিকেটার থাকে। আমার মনে হয়েছিল যে, সুরেশ রায়না ও রবীন্দ্র জাডেজাকে ধোনি সাপোর্ট করেছিল ওদের কঠিন দিনগুলোয়। বিরাট কোহালি যেমন সাপোর্ট করেছিল লোকেশ রাহুলকে। ক্যানসারের পর ফিরে আসার সময় আমার প্রতি ভরসা না দেখানোর জন্য কারওর প্রতি অভিযোগ নেই। আমারই তো সময় লেগেছিল নিজের প্রতি আস্থা ফিরে পেতে।”
ধোনি যে তাঁর উপর আস্থা দেখাননি, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন যুবরাজ। আবার বিরাট কোহালি যে তাঁর উপর আস্থা দেখিয়েছিলেন, সেটাও বলেছেন যুবি। তাঁর মতে, “যখন কামব্যাক করেছিলাম, বিরাট কোহালি পাশে ছিল। ও পাশে না থাকলে আমার পক্ষে কামব্যাক করা সম্ভবই হত না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy