নবাগত: মোহনবাগানের নতুন বিদেশি জাপানের ইউতা কিনওয়াকি। নিজস্ব চিত্র
ইউসা কাতসুমিকে বাদ দিয়ে নতুন ‘জাপানি বোমা’ দলে নিল মোহনবাগান। আইজল এবং শিলং লাজং-এ খেলা ঝকঝকে মিডিও ইউতা কিনওয়াকির সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেল সবুজ মেরুনের।
ইউতা ভারতে আসার আগে খেলে এসেছেন পোল্যান্ড এবং লাটাভিয়ায়। গত বছর আই লিগে শিলংয়ের হয়ে খেল নজর কেড়েছিলেন। মিডিও হলেও চারটি গোলও আছে তাঁর। ব্রাজিল জাত অস্ট্রেলীয় দিয়েগো ফেরেইরাকে সই করালেও তিনি এদেশের পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত নন। সে জন্যই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে এশীয় কোটায় দ্বিতীয় বিদেশি হিসাবে এ দেশে খেলা ফুটবলারের খোঁজে ছিলেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। গত বার আই লিগে শিলংয়ের জার্সিতে ইউতার খেলা ভাল লেগেছিল মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় সেনেরও। আই লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা ডিপান্ডা ডিকার বেশিরভাগ গোলের পিছনে ছিল ইউটার অবদান। ডিপান্ডার সঙ্গে ইতিমধ্যেই চুক্তি করেছে মোহনবাগান। তাঁর সাপ্লাই লাইনকেও তাই নিয়ে এলেন কর্তারা। তাঁরা আশাবাদী আই লিগে এই জুটি সাফল্য আনবে ক্লাবে।
স্পনসর সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল হঠাৎ-ই থমকে। তিন বিদেশির পর আর কোনও ফুটবলার তারা এখনও নিতে পারেনি। দেরিতে মাঠে নেমেও মোহনবাগান কিন্তু ঘর গুছিয়ে নিয়েছে ভাল বিদেশি এনে। জোড়া স্পনসর পেয়ে যাওয়ায় ফুটবলের দায়িত্বে থাকা কর্তারা আই লিগে তাদের চার বিদেশি পাকা করে ফেললেন এ দিন। কিংসলে, ডিপান্ডা ডিকা, দিয়েগো এবং ইউটা। কলকাতা লিগের জন্য চুক্তি হলেও কামো এবং ক্রোমার মধ্যে একজনকে রাখা হবে আই লিগে। ক্রোমার সম্ভবনাই বেশি। আর সনি নর্দে তো আছেনই। সনির সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের কথা প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাইতি স্ট্রাইকার টিম নিয়ে কিছু দাবি করেছিলেন বলে আটকে ছিল সই। শোনা যাচ্ছিল, কাতসুমিকে টিমে নেওয়ার জন্য আবদার করছিলেন বাগান জনতার হার্টথ্রব। কিন্তু কর্তারা এশীয় কোটায় দ্বিতীয় ফুটবলার হিসাবে এ দিন নিয়ে নিলেন ইউতা-কে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্যের জন্য ১৫ লাখ নির্বাচকদের
আইএসএলের বিদেশি নেওয়ার শেষ দিন ১২ সেপ্টেম্বর। সনি অপেক্ষা করছিলেন কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় কী না? কিন্তু মোহনবাগান কর্তারা সে সুযোগ দিতে নারাজ। ফুটবল কর্তারা ঠিক করেছেন ২০ অগস্টের মধ্যে বিদেশি পর্ব মিটিয়ে ফেলতে। এক কর্তা দাবি করলেন, ‘‘আইএসএল কবে কাকে সই করাবে তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো কেন? সনির সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। ও সামনের সপ্তাহেই সই করে দেবে আশা করছি। মোহনবাগানেও খেলবে। কোনও সমস্যা নেই।’’
সনি যে মোহনবাগানেই খেলবেন তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, তাঁর স্ত্রী-র বেছে দিয়ে যাওয়া ফ্ল্যাট মোহনবাগান কর্তারা রেখে দেওয়ায়। ফাঁকা ফ্ল্যাটে ভাড়া গুনছেন তাঁরা, হাইতি মিডিওর দাবি পূরণের জন্য। সনির সই তাই শুধু সময়ের অপেক্ষা। সনি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে মোহনবাগান ফুটবল জনতাকে গত কয়েক বছরে আপন করে নিয়েছেন। ফলে কলকাতায় খেললে হাইতিয়ান এই ফরোয়ার্ডের পছন্দের দলের নাম যে মোহনবাগান, তা কারও অজানা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy