Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
FIFA World Cup 2018

আত্মঘাতী গোল ক্রোয়েশিয়ার, এগিয়ে ফ্রান্স

ফ্রান্স না ক্রোয়েশিয়া, কারা জিতবে বিশ্বকাপ? রবিবার রাতে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে কাদের হাতে দেখা যাবে ট্রফি? ফ্রান্স পারবে দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে? নাকি, নতুন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উঠে আসবে ক্রোয়েশিয়া?

আত্মঘাতী গোলের মুহূর্ত। —রয়টার্স

আত্মঘাতী গোলের মুহূর্ত। —রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ১৭:৩৫
Share: Save:

ম্যাচ শুরুর ১৮ মিনিটেই এগিয়ে গেল ফ্রান্স। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ল ক্রোয়েশিয়া।

ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সের বাইরে গ্রিজম্যানকে ফাউল করেন মার্সেলো ব্রজভিচ। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সেট পিস নেন গ্রিজম্যান।

গোলের মুখে হেড দিতে উঠে মানজুকিচের মাথায় লেগে গোল জড়িয়ে যায় ক্রোয়েশিয়ার জালে। গোলরক্ষক সুবাসিচের কার্যত কিছুই করার ছিল না।

ম্যাচ শুরুর আগে লুঝনিকি স্টেডিয়ামে জমকালো সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়। নাচে গানে মাতিয়ে দেন বিশ্বসেরা শিল্পীরা।

৩২ দিনের জমজমাট যুদ্ধের শেষে আজই নির্ধারিত হবে আগামী চার বছর বিশ্ব ফুটবলের সেরার মুকুট কাদের মাথায় থাকবে। শুরু হয়ে গিয়েছে ম্যাচ। এমবাপে নাকি মদরিচ, শেষ হাসি কে হাসবেন তার অপেক্ষা আর ঘণ্টা দেড়েকের।

কানায় কানায় পূর্ণ লুঝনিকি স্টেডিয়াম। ফিফার হিসাবে একটি টিকিটও অবিক্রিত নেই। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি গোটা বিশ্বের নজর টিভির পর্দায়। দু’ভাগ ফুটবল বিশ্ব।

গ্যালারিতে ক্রোয়েশিয়া সমর্থক। —রয়টার্স

ফ্রান্স কি পারবে দ্বিতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে? হুগো লরিসের দলের সামনে ইতিহাস ছোঁয়ার হাতছানি। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বচ্যম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। সে বার অধিনায়ক ছিলেন দিদিয়ের দেশঁ। এ বার তিনি কোচ। এই পর্যায়ে কতটা চাপ থাকে, আর কী করতে হয় তা কাটিয়ে উঠতে জানেন।

গ্যালারিতে গ্রিজম্যানের স্ত্রী। —রয়টার্স

ক্রোয়েশিয়ার ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বকাপ নেই। ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে এসে সেমিফাইনালে ওঠাই ছিল তাদের সেরা সাফল্য। রাশিয়ায় ফাইনালে উঠে যা এর মধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছেন লুকা মদরিচ, ইভান রাকিতিচরা। কাপ জিতলে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাবে ফুটবলবিশ্ব। সৃষ্টি হবে ইতিহাস। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশের ফুটবল কেন্দ্র করে বাঁচার লড়াই পাবে অন্য মাত্রা। গোটা দেশ তাই ফুটবল-আবেগে কাঁপছে।

ক্রোয়েশিয়ার জার্সির রঙে বিশাল পতাকা গ্যালারিতে। —রয়টার্স

ফ্রান্সের ভরসা কিলিয়ান এমবাপে। ১৯ বছর বয়সি খেলছেন দুরন্ত ফুটবল। গোল করেছেন, স্কিলের ঝলকানিতে মুগ্ধও করেছেন। এমবাপের সঙ্গে গ্রিজম্যান আর জিহু মিলে আক্রমণ রীতিমতো তীক্ষ্ণ। মাঝমাঠে পল পোগবা আর কান্তে রয়েছেন। মাতুইদি ফিট হয়ে উঠেছেন। রক্ষণও জমাট। গোলরক্ষক লরিস অধিনায়কও। সব মিলিয়ে ফ্রান্স দলে দারুণ ভারসাম্য। চোট-আঘাতের উদ্বেগও নেই। ক্রোয়েশিয়াকে কিন্তু দুশ্চিন্তায় রাখছে পেরিসিচের চোট। নকআউটে টানা তিন ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে খেলাও ক্লান্তি আনতে বাধ্য। যা ফ্রান্সের নেই।

ফাইনালে আবার প্রতিশোধের কাহিনিও রয়েছে। কুড়ি বছর আগে দাভর সুকেররা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হেরেছিলেন ফ্রান্সের কাছে। ফ্রান্স হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। এ বার কি ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হবেন সুকেরের উত্তরসূরিরা? নাকি, ইতিহাসের হবে পুনরাবৃত্তি, বিশ্বকাপে ফের ফ্রান্স হারাবে ক্রোয়েশিয়াকে?আবেগ, প্রতিশোধ, ইতিহাস। বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রেক্ষাপট জমজমাট।

এর সঙ্গে মাঠের লড়াইও বেশ উত্তেজক। দুই গোলরক্ষক সুবাসিচ ও লরিসের একে অন্যকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। মাঝমাঠে পোগবা-কান্তের সঙ্গে মদরিচ-রাকিতিচের বল দখলের লড়াই। এমবাপের সঙ্গে আবার সোনার বলের লড়াইয়ে রয়েছেন মদরিচ

আরও পড়ুন: ঘৃণা আর চোখরাঙানিকে পিছনে ফেলে এই বিশ্বকাপ আসলে উদ্বাস্তুদের

আরও পড়ুন: সেমিফাইনাল পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ গোল, কোনটা সেরা, বলুন আপনারা​

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE