স্পেনের গোলরক্ষক দাভিদ দ্য হিয়া।
রাশিয়া বিশ্বকাপের শুরুতেই তাঁর সামনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর চ্যালেঞ্জ। স্পেনের গোলরক্ষক দাভিদ দ্য হিয়া কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। তাঁর দাবি, রোনাল্ডোর পা বা মাথা থেকে ছিটকে আসা গোলাগুলি সামলাতে তাঁরা রীতিমতো তৈরি।
রাশিয়ায় পৌঁছে স্পেনের এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দ্য হিয়া বলেছেন, ‘‘জানি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বিশ্বের অন্যতম সেরা। তা ছাড়া সব সময়ই ও সঙ্গে পেয়েছে দারুণ সব সতীর্থকে। হ্যাঁ আমি রিয়ালের (মাদ্রিদ) কথাই বলছি। ওরা এই সে দিন ইউরোপ সেরা হল। তা ছাড়া পর্তুগালেও অনেক ভাল ফুটবলার রয়েছে। ওদের পাশে পেয়ে রোনাল্ডো দারুণ কিছু করারই চেষ্টা করবে। তবে এ ক’দিনে আমরা সব রকম ভাবে ওকে সামলানোর পরিকল্পনা ছকেছি। এমনকী নানা ভাবে পর্যবেক্ষণও করা হয়েছে।’’
বিশ্বকাপে রাশিয়া আছে গ্রুপ বি-তে। পর্তুগাল ছাড়া তাদের লড়াইটা মরক্কো আর ইরানের। সেই অর্থে পর্তুগালই সব চেয়ে কঠিন বাধা। হিয়া নিজেও সেটা জানেন। গ্রুপ সেরা হতে তাঁদের ১৫ জুনের প্রথম ম্যাচে জেতাটা প্রথম লক্ষ্য। দ্য হিয়ার কথা, ‘‘সেই লক্ষ্যেই আমরা তৈরি হয়েছি। আপাতত বিশ্বকাপ ছাড়া অন্য কিছু ভাবছি না। ভাবা উচিতও নয়। গ্রুপে ভাল কিছু করতে পারলে বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ এসে যেতে পারে। অবশ্য কাউকে খাটো করতে চাই না। তবে প্রথম ম্যাচটা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’
সুইৎজারল্যান্ডের সঙ্গে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ স্পেন ১-১ ড্র করেছে। এই ড্রয়ের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন দ্য হিয়াকে। বলা হচ্ছে তাঁর অতিরিক্ত আত্মতুষ্টির জন্য গোল খেয়ে যায় স্পেন। ম্যা়ঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক কিন্তু সমালোচকদের উড়িয়ে না দিয়ে গুরুত্বই দিচ্ছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘সমালোচনা থাকবেই। আমাদের এ সবের সঙ্গে মানিয়েই চলতে হবে। মানছি প্রস্তুতি ম্যাচে আমার ভুলেই গোলটা হয়েছিল। কিন্তু হাজার হোক সেটা আসল প্রতিযোগিতায় হয়নি। বিশ্বকাপে এমন ভুল হলে কথা ছিল। জানবেন আমার বয়স কম। এখনও নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। এই ধরনের ম্যাচেই ভুল থেকে শিক্ষা নিই আমরা। আসল সময় ফুটবলারদের যা কাজে লাগে।’’
রাশিয়াতেই প্রথম দ্য হিয়ার স্পেন ভিএআর (ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) প্রযুক্তির মধ্যে ম্যাচ খেলবে। স্পেনের ফুটবলারদের যা নিয়ে কার্যত কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। ভিএআর চালু হয়নি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেও। যদিও রোনাল্ডোর দেশ পর্তুগালে এর সফল প্রয়োগ হচ্ছে। স্পেন কি এটা নিয়ে সমস্যায় পড়বে না?
দ্য হিয়ার জবাব, ‘‘যদি ঘন ঘন খেলা বন্ধ করতে না হয়। এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর জটিল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এর সঠিক ব্যবহার করা হয় তা হলে এটা তো ভালই। তবে আমার একটাই চিন্তা। খেলাটা যেন বার বার বন্ধ করতে না হয়। তা হলে যে কোনও দলেরই ছন্দ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মানছি ভিএআর-এর দরকার আছে। কিন্তু ফুটবলটা গতির খেলা। তাই গুরুত্বপূর্ণ হল, যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই রেফারিদের এর প্রয়োগ না করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy