এমনিতেই বুধবার বার বার বৃষ্টিতে বন্ধ হচ্ছে উইম্বলডনের খেলা। তার পরে দেখা গেল প্রতিবাদও। ‘জাস্ট স্টপ অয়েল’ সংগঠনের দুই সদস্য মাঠে ঢুকে পড়লেন। হাত থেকে কমলা রংয়ের কাগজের টুকরো ছড়িয়ে দিলেন কোর্টে। পুলিশ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে বের করে দিলেও খেলা বন্ধ থাকল কিছু ক্ষণ। এর আগে লর্ডসে অ্যাশেজ়ের দ্বিতীয় টেস্টেও একই ঘটনা দেখা গিয়েছিল।
উইম্বলডনের ১৮ নম্বর কোর্টে ঘটেছে এই ঘটনা। জাপানের শিমাবুকুরো শো-এর বিরুদ্ধে খেলছিলেন গ্রিগর দিমিত্রভ। হঠাৎই কোর্টে ঢুকে পড়েন দুই প্রতিবাদী। হাতে থাকা কমলা রংয়ের কাগজের টুকরো ছড়িয়ে দিতে থাকেন কোর্টে। কমলাই এই প্রতিবাদী দলের রং। তবে লর্ডসের মতো এখানে কমলা রংয়ের পাউডার বা একই জাতীয় কোনও পদার্থ ছড়াতে দেখা যায়নি। ফলে কোর্টের খুব ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আম্পায়াররা তবু ঝুঁকি নেননি। ম্যাচ কিছু ক্ষণের জন্যে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। লকার রুমে ফিরে যান দুই খেলোয়াড়। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে সংগঠনের তরফে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও পুলিশের নিরাপত্তায় গাফিলতি থেকে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় দুপুর ২.১০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে।
Just stop oil sitting protest on court 18 as Grigor Dimitrov plays Sho Shimabukuro. Two protestors burst onto court with orange confetti. #WIMBLEDON pic.twitter.com/33ogjUhSre
— Qasa (@QasaAlom) July 5, 2023
আরও পড়ুন:
গত ২৮ জুন লর্ডস টেস্ট শুরু হতেই সমস্যা তৈরি হয়। মাঠে ঢুকে পড়েন দুই প্রতিবাদী। তাঁদের হাতে ছিল কমলা রঙের পাউডার এবং তেল জাতীয় কিছু, যা মাঠে পড়ে যায়। তেল আন্দোলনকারীরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীরা এক জনকে আটকে দেন। অন্য জনকে পাঁজাকোলা করে তুলে নেন জনি বেয়ারস্টো। তিনিই মাঠ থেকে বার করে দেন তাঁকে। বেয়ারস্টোর জামায় তেল লেগে যায়। সেই জামা বদলে আবার খেলতে নামেন ইংরেজ উইকেটরক্ষক।
এই ঘটনাটি ঘটে প্রথম ওভারের পরেই। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। জেমস অ্যান্ডারসন প্রথম ওভারে বল করেন। দ্বিতীয় ওভারে বল করার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। সেই সময়ই মাঠে দু’জন আন্দোলনকারী ঢুকে পড়েন।
বেশ কিছু দিন ধরেই তেল নিয়ে আন্দোলন চলছে। ওভালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগেও হুমকি দিয়েছিলেন এই আন্দোলনকারীরা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল ম্যাচে তাই সতর্কতা হিসাবে দ্বিতীয় পিচ প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। ম্যাচ চলাকালীন পিচ এবং মাঠের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সে কথা মাথায় রেখে ওভালের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনাল সুষ্ঠু ভাবে শেষ করাই লক্ষ্য ছিল আইসিসির। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে বিকল্প পিচে খেলা হবে বলে জানানো হয়েছিল।
সম্প্রতি ব্রিটেনে নতুন করে জীবাশ্ম জ্বালানির লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন করে অনেক তেল এবং গ্যাসের সংস্থা তৈরি হবে। এর বিরোধিতা করছেন পরিবেশ সচেতনতামূলক সংগঠন ‘জাস্ট স্টপ অয়েল’। ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধের মতো কর্মসূচি আগে নিয়েছে তারা। সম্প্রতি খেলার মাঝে প্রতিবাদীদের ঢুকে পড়ার ঘটনা শুরু হয়েছে।