Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
ICC World Cup 2019

ফাইনালে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের কথা মনে পড়ছিল স্টোকসের, কেন জানেন?

সেই কারণে চার-ছক্কা হাঁকানোর দিকে যাননি ফাইনালের মহানায়ক। দলের জয় বিলম্বিত করেন স্টোকস।

ফাইনালে বারবার এই দৃশ্যই মনে পড়ছিল স্টোকসের। ছবি: ফাইল চিত্র।

ফাইনালে বারবার এই দৃশ্যই মনে পড়ছিল স্টোকসের। ছবি: ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ১৭:১১
Share: Save:

মহাকাব্যিক ফাইনালের শেষ বলে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের কথা মনে পড়ে গিয়েছিল বেন স্টোকসের। সেই কারণে চার-ছক্কা হাঁকানোর দিকে যাননি ফাইনালের মহানায়ক। দলের জয় বিলম্বিত করেন স্টোকস।

লর্ডসের ফাইনালে শেষ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল দু’ রান। ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্টোকস দু’ রান নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়লেও সতীর্থ মার্ক উড ক্রিজে পৌঁছতে না পারায় রান আউট হয়ে যান। টাই হয় ম্যাচ। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারও টাই হলে বাউন্ডারি সংখ্যার বিচারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড।

রক্তচাপ বাড়ানো মুহূর্ত প্রসঙ্গে স্টোকস বলেন, ‘‘শেষ বলটায় বার বার মনে পড়ছিল ভারত বনাম বাংলাদেশের ম্যাচটার কথা। ২০১৬ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল। মনে মনে তিনি নিজেকে বোঝাচ্ছিলেন, নায়ক হতে যেও না। ঝুঁকি নিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসো না।’’ তাই চাপের মুহূর্তেও স্টোকসকে শান্ত দেখিয়েছে।

আরও পড়ুন: কতটা পথ পেরোলে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হওয়া যায়! উত্তরের খোঁজে বাংলাদেশ

২০১৬ সালের হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে ভারতের কাছে হারে ‘টাইগার’রা। জয়ের খুব কাছে এসে মাহমুদুল্লাহ চার মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। শাকিবদের জিততে প্রয়োজন তখন মাত্র এক রান। ঠিক সেই সময়ে মাঠে নামেন শুভাগত হোম। পাণ্ড্যর শেষ বলটা তাঁর ব্যাটে লাগেনি। নন স্ট্রাইক এন্ডে দাঁড়ানো মুস্তাফিজুর ছুটতে শুরু করে দেন। শুভাগতও উইকেট ছেড়ে দৌড় লাগান। বল ধোনির হাতে পৌঁছতেই বিদ্যুৎ গতিতে উইকেট ভেঙে দেন। বাংলাদেশের স্বপ্নও ভেঙে যায়। শেষের দিকে জেতার জন্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ‘হারাকিরি’ করে বসেন। একের পর উইকেট ছুড়ে দেন তাঁরা। মাহমুদুল্লাহর উইকেট দিয়ে আসা দেখে শিক্ষা নেন স্টোকস।

ম্যাচে বড় শট খেলতে গিয়ে অনর্থক উইকেট ছুড়ে আসার যে ভুল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা করেছিলেন তিন বছর আগে, তার পুনরাবৃত্তি করতে চাননি স্টোকস। ধীরে ধীরে জয়ের কাছেই পৌঁছনোই লক্ষ্য ছিল তাঁর। ফাইনালের পরে তিনি বলেন, ‘‘আমি ধীরে ধীরেই জয়ের কাছে পৌঁছতেই পছন্দ করি। তাই, চার মেরে ম্যাচ জেতানোর থেকেও আমার লক্ষ্য ছিল ম্যাচটাকে সুপার ওভারে টেনে নিয়ে যাওয়া।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy