গাড়ি আর গতি।
ক্রিকেটের পর সচিন তেন্ডুলকরের জীবনে এই দু’টো জিনিসের প্রতি আসক্তি কোনও গোপন খবর নয়। তবে তার জেরে কিংবদন্তির স্ত্রী অঞ্জলি যে একবার একেবারে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন, সে খবরটা কে জানত!
বৃহস্পতিবার সেই গল্পই ফাঁস করে দিলেন মাস্টার ব্লাস্টার নিজে। জানালেন, একবার ইংল্যান্ডে অঞ্জলিকে পাশে বসিয়ে এমন উদ্দাম গতিতে গাড়ি ছুটিয়েছিলেন যে গোটা দিন টানা মাথা ব্যথা করেছিল অঞ্জলির। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
সচিন অবশ্য এ দিন গুরগাঁওয়ে এক গেমিং সেন্টারের উদ্বোধনে সেই গল্প শোনাতে বসে দাবি করলেন, তাঁর কোনওই দোষ ছিল না। বলেন, ‘‘বিএমডব্লিউওয়ালারা আমাকে ওদের একটা সীমিত সংস্করণের গাড়ি দিয়ে বলেছিল, ব্রেকটা একটু পরীক্ষা করে জানান ঠিক আছে কি না। সেটাই করছিলাম।’’
সচিনের কথায় , ‘‘অঞ্জলিকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে পাশে বসিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। তবে গাড়ির ব্রেক পরীক্ষা করা বলে কথা! দারুণ গতির মুখে ব্রেকটা না লাগালে কী করে বুঝব ভাল না খারাপ?’’ এর পর যোগ করেন, ‘‘ঠিক কত গতিতে গাড়ি চালিয়েছিলাম, সেটা আর না হয় না-ই বললাম। তবে গতি নেহাত মন্দ ছিল না। তার পর ব্রেক লাগাই আর হ্যাঁচকা মেরে থমকে গাড়ি থেমে যায়। জি-ফোর্স এমন মারাত্মক ছিল যে অঞ্জলি হাড়ে হাড়ে টের পেল। আমিও পেলাম। তার পর সারাদিন ধরে মাথায় সে কী মারাত্মক ব্যথা! গতির এই অভিজ্ঞতাটা আজও এতটুকু ভুলতে পারিনি!’’
জোরে গাড়ি চালানো নিয়ে বউয়ের কাছে এর পর কতটা বকাঝকা খেতে হয়েছিল, সেটা অবশ্য জানাননি সচিন। তবে গতি আর অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি তাঁর আকর্ষণের আরও উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে এ দিন। গেমিং সেন্টারে তাঁর পছন্দের খেলাগুলো দেখে। ফর্মুলা ওয়ান ভক্ত সচিন বন্ধুদের নিয়ে মুম্বইয়ে একটা আস্ত গো-কার্টিং ট্রাকই গড়ে ফেলেছেন। ‘‘ওখানে ওভারটেকিংয়ের দারুণ সুযোগ আছে,’’ বলেছেন নিজেই। এ দিন ফর্মুলা ওয়ান গাড়ি চালানো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ফ্রি কিক থামানো, ব্রেট লি-র ইয়র্কার, মুরলীধরনের দুসরা সামলানোর মতো খেলাগুলো নেড়েচেড়ে দেখার পর সচিনের সবচেয়ে মনে ধরে সেই খেলাটা যেখানে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় একটা সরু পাটাতনের উপর দিয়ে না পা ফস্কে এক বহুতলের ছাদ থেকে পৌঁছে যেতে হয় আর একটা বহুতলের ছাদে।
সচিন সেটা খেলার পর বলেন, ‘‘একবার এই বিশেষ ধরনের চশমাটা পরে নেওয়ার পর খেলার আসল উত্তেজনা আপনারা বুঝবেন। সত্যিই মনে হবে এক চিলতে পাটাতনের উপর কোনও রকমে ভারসাম্য বজায় রেখে হাঁটছি। আমি তো একবার ছ’-সাত ফুটের একটা লাফ মারার চেষ্টা করে পড়তে পড়তে বাঁচলাম!’’
আর জানিয়েছেন, খেলার পর মাথায় সেই একই রকম যন্ত্রণা অনুভব করছেন, যেটা সে দিন ইংল্যান্ডে মালুম পড়েছিল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy