লক্ষ্য সেন। ফাইল ছবি।
লক্ষ্যদের লক্ষ্যভেদ।
রবিবার ব্যাঙ্ককে শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে টমাস কাপে ইতিহাস গড়েছে ভারতের পুরুষ ব্যাডমিন্টন দল। সেই দলেরই অন্যতম সদস্য লক্ষ্য সেন। ২০ বছরের তরুণ শাটলার কিছু দিন আগেই অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে উঠেছিলেন। এ বার টমাস কাপ জয়ের ক্ষেত্রেও নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
এ বারের প্রতিযোগিতায় ভারত ছিল কালো ঘোড়া। ভাল ফল প্রত্যাশিত থাকলেও কিদম্বি শ্রীকান্ত, এইচএস প্রণয়, লক্ষ্যরা চ্যাম্পিয়ন হবেন— এতটা আশা হয়তো অনেকেই করেননি। কিন্তু ব্যাঙ্ককের ইম্প্যাক্ট এরিনায় ভারতীয় শাটলারদের দাপটে সহজ হয়েছে সেই আপাত কঠিন কাজই। কী ভাবে তৈরি হল ইতিহাস? কখনও প্রতিযোগিতার ফাইনালে পা রাখতে না পারা ভারতীয় দলের আত্মবিশ্বাসের নেপথ্যে কী? জানিয়েছেন লক্ষ্য।
দেশের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, ‘‘যে কোনও ব্যাডমিন্টন খেলোয়া়ড়ের কাছেই এটা বিশেষ একটা দিন। আগে ভারত কখনও টমাস কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়নি। এটা বিরাট বড় প্রাপ্তি, কারণ আমরা ব্যাডমিন্টনে দলগত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এটা অনেকটা বিশ্বকাপের মতো। এই সাফল্য ভবিষ্যত প্রজন্মকেও অনুপ্রাণিত করবে।’’
ফাইনালে ইন্দোনেশিয়াকে হারানো নিয়ে চর্চা চললেও লক্ষ্যর মতে কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে ডেনমার্ক এবং মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের কথাও ভুললে চলবে না। ডেনমার্ক এই প্রতিযোগিতার প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন। মালয়েশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাঁচ বার। ব্যাডমিন্টন বিশ্বে এই দুই দেশও যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবেই পরিচিত। লক্ষ্য বলেছেন, ‘‘আমরা দলগত ভাবে সাফল্য পেয়েছি। প্রথম থেকেই বিশ্বাস করেছি, আমরা যে কোনও দলকে হারাতে পারি। সিঙ্গলস এবং ডাবলস মিলিয়ে এ বার দারণ শক্তিশালী দল ছিল আমাদের। গ্রুপ পর্বই হোক বা সেমিফাইনাল— জিততে পারব এই বিশ্বাস নিয়েই খেলেছি আমরা। নকআউট পর্বে বেশ কিছু ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কিন্ত যে কাউকে হারাতে পারি এই বিশ্বাসটাই আমাদের কঠিন ম্যাচগুলোয় সাহায্য করেছে।’’
সতীর্থদের পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, ‘‘নকআউট পর্বে আমাদের সব খেলোয়াড়ই দুরন্ত পারফর্ম করেছে। বেশ কিছু কঠিন ম্যাচ আমরা জিতেছি। ভাগ্যের অল্প কিছু সাহায্য আমরা পেয়েছি। কিন্তু সকলেই দুর্দান্ত ব্যাডমিন্টন খেলেছে।’’ এই সব ম্যাচের ফলই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করে অভিনন্দন জানান লক্ষ্যদের। মোদীও প্রশ্ন করেন, এমন আত্মবিশ্বাস তাঁরা কী ভাবে অর্জন করলেন। এ নিয়ে লক্ষ্য বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ফাইনালে আমাদের খেলা দেখেছেন। জয়ের পর ফোন করেন। অভিনন্দন জানান। উৎসাহ দেন। ওঁকেও বলেছি, প্রথম থেকেই আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy