২০০৪ সালে শৈলজাকে বিয়ে করেন লক্ষ্মণ। তাঁদের মেয়ের নাম অচিন্ত্যা এবং ছেলের নাম তাঁরা রেখেছেন সর্বজিৎ। লক্ষ্মণ এবং শৈলজার সফল দাম্পত্য প্রমাণ করেছে, সত্যভামার অনুমান নির্ভুল ছিল। তাঁর ছেলের যোগ্য জীবনসঙ্গী হতে পেরেছেন শৈলজা। ক্রিকেট কেরিয়ারের নানা ওঠাপড়ায় তিনিই ছিলেন স্বামীর মানসিক শক্তির অন্যতম উৎস।
৩ টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ে ১০ উইকেটে জয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে ছিল ইডেনে। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রান পিছিয়ে থেকে ফলো অন করেছিল ভারত। ম্যাচের চতুর্থ দিনে ইতিহাস লিখেছিলেন লক্ষ্মণ এবং দ্রাবিড়। তাঁদের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করে সে দিন ভারতের একটা উইকেটও ফেলতে পারেনি স্টিভ ওয়ার বাহিনী।
লক্ষ্মণ-দ্রাবিড় জুটির ৩৭৬ রানের সুবাদে ফলো অন করা সেই টেস্ট ভারত জিতেছিল ১৭১ রানে। এই ম্যাচেই কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ২৮১ রান করেন লক্ষ্মণ। টেস্টে ভারতীয় ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ স্কোরের দিক থেকে তিনি ভেঙে দেন সুনীল গাওস্করের রেকর্ড। ৩ বছর পরে এই রেকর্ড ভেঙেছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই সিরিজ শেষ অবধি ২-১ জিতে নেয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারত।
বর্ণময় কেরিয়ার হওয়া সত্ত্বেও লক্ষ্মণ হলেন মুষ্টিমেয় ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন, যিনি কোনও দিন বিশ্বকাপে খেলেননি। তাঁর সেরা সময় তেন্ডুলকর-দ্রাবিড়-সৌরভেরও কেরিয়ারের স্বর্ণযুগ। ক্রিকেটপ্রেমীদের মতে, তাঁদের খ্যাতির আলোয় ম্লান হয়ে গিয়েছিল লক্ষ্মণের সাফল্য। আইপিএল-এ তিনি খেলেছেন ডেকান চার্জার্স এবং কোচি টাস্কার্স কেরলের হয়ে।
তবে কেরিয়ারের প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি নিয়ে কোনও দিন ভেঙে পড়েননি পারিবারিক দিক দিয়ে ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি প্রয়াত সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের উত্তরসূরি ভাঙ্গিপুরাপু ভেঙ্কট সাই লক্ষ্মণ। ক্রিকেট খেলে গিয়েছেন ভালবেসে। ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ বা ‘ওয়াল’-এর মতো কোনও বিশেষণ তাঁর নামের পাশে বসেনি। সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিতও ছিলেন না এই হায়রাবাদি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy