শ্রদ্ধা: তাঁরা ছিলেন কোচের প্রার্থী। সহবাগের অনুষ্ঠানে শাস্ত্রী। ছবি: টুইটার।
কথা ছিল তাঁকে সম্মান জানানো হবে। সেটা করতে গিয়ে ফের কেলেঙ্কারি। বীরেন্দ্র সহবাগের নামে গেট উদ্বোধন করার অনুষ্ঠানে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থা লিখল, ভারতের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার। বেমালুম তারা ভুলে গিয়েছে যে, করুণ নায়ারেরও টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে।
দেখা গেল দিল্লি ও ডিসট্রিক্ট ক্রিকেট সংস্থা যে তিমিরে ছিল, তেমনই থেকে গিয়েছে। ফিরোজ শা কোটলায় আজ, বুধবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তার আগে ফিরোজ শা কোটলার একটি গেট বীরেন্দ্র সহবাগের নামে উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। গেটের সামনে সহবাগের বড় কাট-আউট করা হয়েছিল। তার নীচে লেখা ‘লেজেন্ডস আর ফরএভার’। অর্থাৎ কিংবদন্তিরা চিরকালের জন্য।
চোদ্দো বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নানা কীর্তি গড়েছেন সহবাগ। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে মুলতানে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন সহবাগ। তিনি টেস্টে দু’টি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। সে সব কীর্তির কথাও তাঁর কাটআউটের পাশে ফলাও করে লেখা হয়েছিল। তার মধ্যেই লেখা ছিল ‘ভারতের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার’। সেই ভুল নিয়েই রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়।
Huge blunder in the @virendersehwag gate. Hope the DDCA get this rectified ASAP pic.twitter.com/gXL5YyFRmP
— Pramod Ananth (@pramz) October 31, 2017
চোদ্দো বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নানা কীর্তি গড়েছেন সহবাগ। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে মুলতানে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন সহবাগ। তিনি টেস্টে দু’টি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। সে সব কীর্তির কথাও তাঁর কাটআউটের পাশে ফলাও করে লেখা হয়েছিল। তার মধ্যেই লেখা ছিল ‘ভারতের একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার’। সেই ভুল নিয়েই রীতিমতো হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়।
দিল্লি ক্রিকেট কর্তাদের মনেই নেই যে, গত বছর ডিসেম্বরে চেন্নাইতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন করুণ নায়ার। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে, করুণ নায়ার আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসেরই ক্রিকেটার। যাদের ঘরের মাঠ ফিরোজ শা কোটলা। সেখানেই সহবাগকে নিয়ে অনুষ্ঠানে এমন ভুল তথ্য পরিবেশন। সহবাগ যদিও একমাত্র ভারতীয় যিনি টেস্টে দু’টি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন। ২০০৪ সালে মুলতানে তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে করেন ৩০৯। চার বছর পরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে তিনি করেন ৩১৯।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সহবাগ বলেন, দিল্লিতে কঠিন ক্লাব ক্রিকেটের কারণেই শক্তিশালী মানসিকতার ক্রিকেটার এখান থেকে বেরোয়। ‘‘দিল্লিতে ক্লাব ক্রিকেটে প্রচুর একদিনের ম্যাচ খেলা হয়। রঞ্জি ট্রফিতে আসার আগেই এই ক্রিকেটারদের মানসিকতা বেশ শক্তপোক্ত হয়ে যায়। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে নেমে ওরা মোটেই সমস্যায় পড়ে না।’’ কোটলায় উদ্বোধন হয়ে গেল ‘বীরেন্দ্র সহবাগ গেট’-এর। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার যা নিয়ে গর্বিত। ‘‘এটা আমার কাছে খুব বড় একটা সম্মান। এর পর যেন ড্রেসিংরুম, স্ট্যান্ড— এ সবেরও নামকরণ হয় ক্রিকেটারদের নামে,’’ বলেন সহবাগ। সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘খুদে ক্রিকেটাররা এটা দেখে উৎসাহিত বোধ করবে। ওরা দেখবে যে, বীরেন্দ্র সহবাগও একটা বাচ্চা হিসেবে এখানে খেলা শুরু করেছিল। খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর তার নামেই তৈরি হয়েছিল গেট। এটা ওদের সকলকে উদ্বুদ্ধ করবে।’’
এমন একটা মূহূর্তের কথা বলুন যখন আপনার দিল্লি ক্রিকেট দলের সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয়েছিল, কিন্তু থাকতে পারেননি। প্রশ্ন করা হয় সহবাগকে। তাঁর জবাব, ‘‘যে বছর গৌতম গম্ভীররা রঞ্জি ট্রফি জিতল (২০০৭-০৮), খুব ইচ্ছে হয়েছিল সেই দলটার সঙ্গে থাকতে। কিন্তু আমি তখন ভারতের হয়ে খেলছিলাম। সেই জয়ের সব কৃতিত্ব গৌতম গম্ভীরের। প্রদীপ সাঙ্গোয়ানও দারুণ খেলেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy