ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুর্দান্ত অগ্রগতির জন্য আইপিএল-কেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন জাহির।
আইসিসি পুরস্কারে একচ্ছত্র আধিপত্য দেখানোর দিনে ওয়াঘার ও পার থেকেও সর্বোচ্চ প্রশংসা পেলেন বিরাট কোহালি। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাহির আব্বাস বলে দিলেন, সচিন তেন্ডুলকরের সমস্ত ব্যাটিং রেকর্ড ভেঙে দিতে পারেন কোহালি।
পাকিস্তানের একটি টিভি চ্যানেলে কথা বলতে গিয়ে জাহিরের মন্তব্য, ‘‘আমার মনে হয় এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা বিরাটই। ও সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।’’ তার পরেই যোগ করছেন, ‘‘শুধু বিরাট নয়, ভারতের হাতে এখন অনেক ভাল ব্যাটসম্যান রয়েছে। রোহিত শর্মা রয়েছে। ওর দারুণ সব স্ট্রোক খেলা দেখে অভিভূত হয়ে যেতে হয়। রোহিতের খেলায় সৌন্দর্য চোখ জুড়িয়ে দেয়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের হাতে স্ট্রোকের দারুণ বৈচিত্র রয়েছে। সেটা ওদের বিশেষত্ব।’’
কোহালি ইতিমধ্যেই ৩৯ ওয়ান ডে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে গিয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকরের ৪৯ ওয়ান ডে সেঞ্চুরি রয়েছে। টেস্টে তেন্ডুলকরের রয়েছে ৫১ সেঞ্চুরি। সচিনের ‘সেঞ্চুরি অফ সেঞ্চুরিস’-কে ধরার দৌড় শুরু করে দিয়েছেন কোহালি। অনেকেই মনে করছেন, কেউ যদি সচিনের রেকর্ড ভাঙতে পারেন তো সেটা কোহালিই। জাহিরের গলাতেও একই সুর। তবে কোনও ব্যাটসম্যানের গুণগত মান যাচাই করার জন্য যুগ এবং প্রতিপক্ষের কথাও মাথায় রাখতে বলছেন তিনি।
একটা সময় ছিল যখন পাকিস্তান বার বার হারাত ভারতকে। সেই জায়গা থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বলে মনে করছেন জাহির। ভারতের বিরুদ্ধে বরাবর সফল প্রাক্তন পাক ব্যাটসম্যান মনে করছেন, পরিকাঠামোর দিক থেকে অনেক উন্নতি করেছে তাঁদের প্রতিবেশী দেশ। এখন অনেক বেশি প্রতিভাবান ক্রিকেটার বেরোচ্ছে ভারত থেকে। জাহিরের মন্তব্য, ‘‘শুধু ভারতের ব্যাটসম্যানরাই সফল হচ্ছে তা নয়, দারুণ সব বোলারও তুলে আনছে ভারত। এই উন্নতির কারণ ওদের দূরদৃষ্টি। অনেক দিন আগে ওরা ডেনিস লিলিকে এনে এমআরএফ পেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিল। আজ তার সুফল পাচ্ছে।’’
ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুর্দান্ত অগ্রগতির জন্য আইপিএল-কেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন জাহির। বলছেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভারত সেরা দলগুলোর একটা। বিশেষ করে আইপিএল আসার পরে ওদের খেলায় দারুণ উন্নতি ঘটেছে। ওরা ওদের ক্রিকেটারদের অন্য কোনও দেশে খেলার অনুমতি দেয় না। কিন্তু নিজেদের ক্রিকেটারদের কী দারুণ আর্থিক নিশ্চয়তা দিচ্ছে ওরা!’’ পাকিস্তানকে দ্রুত ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় থেকে বেরিয়ে আসার আর্জি জানাচ্ছেন জাহির। বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমাদের দেশের ক্রিকেটে একটা সাফল্য অন্য সব ব্যর্থতাকে ঢেকে দেয়। আমাদের প্রতিবেশীদের থেকে শেখা উচিত। ভারতের থেকে তো বটেই, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের থেকেও। প্রত্যেকে দারুণ উন্নতি করে ফেলেছে।’’ প্রাক্তন আইসিসি প্রেসিডেন্ট মনে করছেন, নিরাপত্তার কারণে ২০০৯ থেকে বিদেশি দলের পাকিস্তান সফর না করাও তাঁদের দেশের ক্রিকেটকে পিছনে ঠেলে দিয়েছে। কিছু দিন আগে অস্ত্রোপচার হওয়া জাহির এও জানিয়েছেন, তিনি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy