খেলোয়াড়ি: ম্যাচের সেরা স্যামকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন বিরাট। ছবি: পিটিআই।
টেস্ট, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ান ডে সিরিজ জিতে ইংল্যান্ডকে বিদায় জানাল ভারত। পুণেয় রবিবার শেষ ম্যাচে জস বাটলারদের হারিয়ে ওয়ান ডে ট্রফি ২-১ জিতে নিল ভারত।
ভারত জিতলেও ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হল স্যাম কারেনকে। সিরিজ সেরা হলেন জনি বেয়ারস্টো। যা দেখে অবাক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহালি। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি জানতে চেয়েছেন, কেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন না শার্দূল ঠাকুর? এমনকি, সিরিজ সেরার পুরস্কার কেন দেওয়া হল না ভুবনেশ্বর কুমারকে?
বিরাট বলেছেন, “শার্দূল দারুণ উন্নতি করেছে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওকে দেওয়া হল না দেখে আমি সত্যি অবাক। এমনকি সিরিজ সেরার পুরস্কারও পেল না ভুবনেশ্বর কুমার। সত্যি অদ্ভুত!” যোগ করেন, “দুটি সেরা দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতটাই যে, কেউ এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে চায় না। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ ধরে রাখতে পারলে জয় আসা স্বাভাবিক।”
শেষ ম্যাচে ব্যাটিং সহায়ক পিচে ৬৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন শার্দূল। মাত্র ৪২ রান দিয়ে তিন উইকেট ভুবনেশ্বর কুমারের। সিরিজের প্রত্যেকটি ম্যাচে জুটি ভাঙার সময় ভুবির হাতেই বল তুলে দিতেন বিরাট। এ দিনও যেমন স্যাম কারেন ও মইন আলির জুটি ভাঙেন ভুবনেশ্বর।
আদিল রশিদ ও কারেনের জুটি ভাঙে দুরন্ত একটি ক্যাচের সৌজন্যে। শার্দূলের বলে শর্ট কভার অঞ্চলে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে বিরাট তালুবন্দি করেন রশিদকে। সুনীল গাওস্কর বলে ওঠেন, “অধিনায়কের এটাই পরিচয়। ব্যাট হাতে না পারলেও ফিল্ডিংয়ে নেতৃত্ব দিয়ে প্রত্যেককে উদ্বুদ্ধ করে ও।” বিরাটের কাছেও জানতে চাওয়া হয় এই ক্যাচ নিয়ে। অধিনায়কের উত্তর, “হার-না-মানা মনোভাব ছিল প্রত্যেকের। সেটা ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। তবে ক্যাচ আমাদের হাত থেকেও পড়েছে। আসলে ক্যাচ পড়লে সব চেয়ে খারাপ অনুভূতি হয় তারই, যে সেটা ফেলেছে। কখনও ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। কখনও কোনও প্রভাব পড়ে না। তবে আমাদের দলের মধ্যে লড়াই করার খিদে ছিল প্রত্যেক মুহূর্তে। ক্যাচ পড়লেও এই মনোভাব পাল্টায়নি।”
সিরিজ জয়ের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি বিরাট। তাঁর কথায়, “ঠিক সময় উইকেট তোলার জন্যই এই জয় সম্ভব হয়েছে। স্যাম কারেনের ইনিংস সত্যি ম্যাচ হাত থেকে বার করে দিচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস হারায়নি বোলাররা।”
ভারতীয় দলের সূচি তৈরি নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন অধিনায়ক। তাঁর দাবি, “ভবিষ্যতে সূচি গঠন নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। কারণ জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকে টানা ম্যাচ খেলার প্রভাব প্রত্যেকের মধ্যেই পড়ে। সবার মধ্যে একই রকম মানসিক চাপ নেওয়ার ক্ষমতা না-ই থাকতে পারে। যা-ই হোক। সামনে আইপিএল। সেই প্রতিযোগিতা নিয়েই এ বার ভাবব।”
ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার সিরিজ হারলেও দলের লড়াইয়ে খুশি। তিনি বলেছেন, “স্যাম কারেনের লড়াই আমাদের মধ্যে জয়ের আশা জাগিয়েছিল। একা ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল কারেন। সিরিজ হারলেও ওর লড়াইকে কুর্নিশ।” যোগ করেন, “দু’দলই কিছু না কিছু ভুল করেছে। কিন্তু দিনের শেষে সেরা ক্রিকেট উপহার দিয়েছে।”
ম্যাচের সেরা কারেনের লড়াইয়ে মুগ্ধ গাওস্কর থেকে ভিভিএস লক্ষ্মণ। ৮৩ বলে তাঁর অপরাজিত ৯৫ রানের ইনিংস দেখে কিংবদন্তি গাওস্কর বলেছেন, “কারেনের জন্যই ম্যাচটি এতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল। আশা করি, এ বারের আইপিএলে আরও ভাল ইনিংস উপহার দেবে এই তরুণ অলরাউন্ডার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy