ক্রাইস্টচার্চে বিরাট ও কেন। ছবি: এএফপি।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের পরে সাংবাদিকের এক প্রশ্নে মেজাজ হারালেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি।
ক্রাইস্টচার্চের এক সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল, প্রথম ইনিংসে নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পরে কোহালি যে ভাবে উচ্ছ্বাস করেন, তা নিয়ে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে যশপ্রীত বুমরার বলে উইলিয়ামসন আউট হওয়ার পরে কোহালিকে মুষ্টিবদ্ধ হাত ছুড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। এমনকি, দশর্কদের চুপ করারও ইঙ্গিত করেন ভারত অধিনায়ক।
সোমবার ম্যাচের পরে ভারত অধিনায়কের সাংবাদিক বৈঠকে এক স্থানীয় সাংবাদিক কোহালিকে তাঁর ওই উৎসব ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করেন। যার জবাবে বিরক্ত কোহালি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনি কী ভাবেন এই ব্যাপারে? আমি আপনার কাছ থেকে উত্তরটা জানতে চাই।’’ আরও বলেন, ‘‘আপনার উচিত উত্তরটা জেনে এখানে আসা। আর ঠিকঠাক প্রশ্ন করা। ঘটনাটা কী ঘটেছে, তা পুরো না জেনে এখানে এসে এ রকম প্রশ্ন করবেন না। আপনি যদি কোনও বিতর্ক তৈরি করতে চান, তা হলে বলব, এটা সেই জায়গা নয়।’’ এর পরে কোহালি মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘আমি ম্যাচ রেফারির (রঞ্জন মদুগলে) সঙ্গে কথা বলেছি। ম্যাচ রেফারির কোনও সমস্যা নেই ওই ঘটনা নিয়ে।’’
পরে নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসনকেও এই নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি তা উড়িয়ে দেন। উইলিয়ামসন বলেন, ‘‘বিরাট ও রকমই। মাঠে ও বরাবরই আবেগপ্রবণ। ওই নিয়ে বেশি ভাবার কোনও দরকারই নেই।’’ কোহালির আচরণ নিয়ে যতই প্রশ্ন উঠুক, ভুললে চলবে না আইসিসির ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার তিনিই জিতেছিলেন। গত বছর বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলায় যখন স্টিভ স্মিথকে বিদ্রুপ করছিলেন ভারতীয় দশর্করা, তখন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানের পাশে দাঁড়ান কোহালি। দর্শকদের চুপও করতে বলেন। যে কারণে ওই বিশেষ পুরস্কারের জন্য আইসিসি বেছে নিয়েছিল কোহালিকে।
ভারত অধিনায়কের ছোটবেলার কোচ রাজকুমার শর্মাও পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ছাত্রের। মুম্বইয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘বিরাট ভাল খেলার সময় যখন ওই রকম আগ্রাসী মেজাজ দেখায়, তখন সবাই খুব তারিফ করে। আমি সব সময় বিশ্বাস করেছি, আগ্রাসনটা বিরাটের একটা শক্তি। আগ্রাসন ওকে তাতিয়ে দেয় ভাল খেলার জন্য। আগ্রাসন আর খারাপ ব্যবহারের মাঝে একটা সীমারেখা আছে। বিরাট কিন্তু সেই সীমারেখা কখনও পার করেনি।’’
নিউজ়িল্যান্ড সফরে রান পাননি কোহালি। কিন্তু তাতে বিচলিত নন ছোটবেলার কোচ। রাজকুমার বলেছেন, ‘‘প্রত্যেক ক্রিকেটারই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়। ক্রিকেটে ‘ল অব অ্যাভারেজ’ বলে একটা কথা আছে। চিন্তার কিছু নেই। বিরাট জানে কোথায় সমস্যা হচ্ছে। আমরা এই নিয়ে কথাও বলেছি। ও খুব তাড়াতাড়ি স্বমহিমায় ফিরবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy