হোসে মোলিনা। —ফাইল চিত্র।
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হারের পর আবার জয়ের সরণিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সবুজ-মেরুন দলের কোচ হোসে মোলিনা স্বাভাবিক ভাবেই দলের হয়ে খুশি। তবে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে জেতা কঠিন ছিল বলেই মনে করছেন কোচ। আর জোড়া গোলের মালিক আলবার্তো রদ্রিগেজ চাইছেন আগামী ম্যাচেও এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে ভাল খেলতে পারেনি মোহনবাগান। এক গোলে পিছিয়ে গিয়েছিল তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় মোলিনার দল। তিন গোল দিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আলবার্তো রদ্রিগেজ দু’টি ও অস্ট্রেলীয় ফরোয়ার্ড জেমি ম্যাকলারেন পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জেতান। চলতি লিগের নবম জয়ের পর মোলিনা বলেন, “দলের খেলায় আমি খুশি। আগের ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর জয়ে ফিরে আসাটা খুবই জরুরি ছিল। আমাদের দল একটা ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়ে জয়ে ফিরে আসতে পারায় আমি খুশি।”
প্রথম ৪৫ মিনিটে যে তাঁর দল ভাল খেলতে পারেনি সেটা মানতে চাইলেন না স্প্যানিশ কোচ। দ্বিতীয়ার্ধে পঞ্জাবের মিডফিল্ডার পুলগা ভিদাল দ্বিতীয় হলুদ তথা লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যাওয়ায় যে মোহনবাগানের সুবিধা হয়েছে, তা অস্বীকার করেননি তিনি। মোলিনা বলেন, “প্রথম ৪৫ মিনিটে আমরাই আধিপত্য বিস্তার করেছি। তবে গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারিনি। পঞ্জাব একটা গোল করে দেয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পেয়ে যাই আমরা। এর পর ভিদাল লাল কার্ড দেখায় আমাদের কাজটা অপেক্ষাকৃত সোজা হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩-১-এ জিতে আমরা খুশি। লিগে শীর্ষস্থান ধরে রাখাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
পঞ্জাব ম্যাচের আগে রক্ষণভাগের ফুটবলার রদ্রিগেজ বলেছিলেন তিনি এই ম্যাচে গোল করার চেষ্টা করবেন। কথা রাখায় খুশি কোচ। তবে বেশি খুশি তাঁর দলের সব বিভাগের খেলোয়াড়েরাই গোল পাচ্ছেন বলে। গ্রেগ স্টুয়ার্ট খেলতে না পারায় দলের কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলে মনে করেন মোলিনা। তিনি বলেন, “গ্রেগ না খেলতে পারায় আমাদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সে জন্যই তো শীর্ষে আছি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলের চেয়ে আমরা পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে। গ্রেগ খেলতে না পারলেও অন্যরা আছে। তারা লড়াই করে দলকে জেতাতে জানে। তারাও ভাল ফুটবলার। প্রত্যেকের উপরেই আস্থা আছে। তবে অবশ্যই চাই গ্রেগ চোট সারিয়ে দ্রুত ফিরে আসুক।”
এ দিনের ম্যাচের জোড়া গোলদাতা রদ্রিগেজ দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে খুশি। তিনি বলেন, “পঞ্জাব ভাল খেলেছে। তবে আমরা কখনও হাল ছাড়ি না। গোল করে দলকে জেতাতে পেরে খুবই খুশি। এই জয় আমাদের পরিশ্রমের ফল।” ফুটবল জীবনে পর পর এত গোল কখনও করেননি। চারটি গোলের মালিক বলেন, “আমার কেরিয়ারে এই প্রথম ধারাবাহিক ভাবে এত গোল পাচ্ছি। এর জন্য অনেক পরিশ্রম করি। তবে ডিফেন্ডার হিসেবে আমার কাছে ক্লিন শিট বজায় রাখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গোল পেলেও অবশ্য ভাল লাগে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy