টানা ভাল সময় আপাতত অতীত। এই সিরিজে ব্যর্থতা পিছু ছাড়ছে না ব্যাটসম্যান বিরাট কোহালির। তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিন ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে আর মাঠেই নামতে পারেননি। কিন্তু আজ, তৃতীয় দিন, ব্যাট হাতে নামলেন। কিন্তু ক্রিজে টিকলেন মাত্র কয়েক মিনিট। মাত্র ৬ রান এল ক্যাপ্টেন কোহালির ব্যাট থেকে। ২০১৫র মাঝামাঝি সময় থেকে ২০১৭র শুরু পর্যন্ত দাপিয়ে খেলেছেন। কিন্তু এই সিরিজে ব্যাড প্যাচ চলছেই।

আরও খবর: নেটে ব্যাটিং কোহালির

ব্যাট হাতে, অধিনায়কের দায়িত্ব নিয়ে, এত দিন শুধু সাফল্যই ছিল সঙ্গী বিরাট কোহালি তথা ভারতীয় দলের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজের শুরুতেই জোড় ধাক্কা খেতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট তিন দিনে শেষ হয়ে যায়। ৩৩৩ রানে হারতে হয় ভারতকে। ব্যর্থ হন বিরাট কোহালিও। পরের টেস্টে দল জয়ে ফিরলেও, বিরাটের ব্যাটে রানের খরা অব্যাহত থাকে।

বিরাট কোহালিকে আউট করার পর অস্ট্রেলিয়া শিবিরে উচ্ছ্বাস।

উল্টোদিকে, ব্যাট হাতে এই সিরিজে একাধিকবার ঝড় তুলতে দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকে। ইতিমধ্যেই তিন ম্যাচে দুটো সেঞ্চুরি চলে এসেছে তাঁর ব্যাটে। সেখানে ভারত অধিনায়ক ৫০এর গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। সিরিজের প্রথম পাঁচ ইনিংসে বিরাটের মোট রান ৪৬। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে কোনও রান না করেই প্যাভেলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন বিরাট। সেখানে স্মিথের রান ছিল ২৭। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই ঘুরে দাঁড়ান স্মিথ। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১০৯ রান। সেখানে বিরাটের দ্বিতীয় ইনিংসে সংযোজন ১৩। পুণে টেস্টে লজ্জার হার দেখতে হয়েছিল ভারতীয় দলকে।

বেঙ্গালুরু টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ভারত। জয়ে ফেরেও দল। কিন্তু কোথায় বিরাট? প্রথম ইনিংসে ১২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ১৫। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য বড় রান আসেনি স্মিথের ব্যাটেও। প্রথম ইনিংসে আট রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ২৮। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে আবার ঘুরে দাঁড়ান তিনি। ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়েই লড়ে যান শেষ পর্যন্ত। যার ফল দলের ৪৫১ রান। স্মিথ নিজের নামের পাশেও লিখে নেন অপরাজিত ১৭৮ রানের ইনিংস। কিন্তু এ বারও ফ্লপ বিরাট কোহালি। আজ মাত্র ৬ রান করে কামিন্সের বলে স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ভাগ্যিস চেতেশ্বর পূজারা ব্যাট হাতে বড় রানের ইনিংস খেললেন। না হলে বড় বিপদে পড়তে হত ভারতকে। ওপেনারাও ঝোলাননি। কিন্তু চার নম্বর থেকে কেউই বলার মতো রান করে উঠতে পারেননি।