আউট হয়ে বারবার হতাশা প্রকাশ করতে থাকলেন ধোনি।-সুদীপ্ত ভৌমিক
ইডেনে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ দেখতে হাজির হাজার তিনেk দর্শক? শেষ কবে দেখা গিয়েছে? প্রায় অসম্ভব সেই দৃশ্যই দেখা গেল শনিবার। ‘মাহি মার রহা হ্যায়’-এর আশায় এই ভিড়।
যদিও ‘মার রহা হ্যায়’-এর ঝলকই শুধু দেখাতে পারলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। পুরনো সেই ‘ফিনিশার’-কে দেখা গেল না বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে। ধোনির ঝাড়খণ্ড রান তাড়া করতে নেমে হারল ৫ রানে।
ধোনি খুবই মন্থর শুরু করলেন। তার পর রানের গতি বাড়াতে পারলেও শেষ পর্যন্ত থেকে জেতাতে পারেননি দলকে। তিনি ৪৩ এবং ঈশান কিশান ৩৬ করলেন। ম্যাচ দেখতে দেখতে ধোনি সম্পর্কে চমকে ওঠার মতো তথ্য দিয়ে গেলেন ঝাড়খন্ড ক্রিকেট সংস্থার প্রধান এবং বোর্ডের সচিব অমিতাভ চৌধুরী। বললেন, ‘‘জানেন কী, ধোনি এই প্রথম ঝাড়খণ্ড দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভারতের হয়ে এত দিন অধিনায়কত্ব করেছে, দু’টো বিশ্বকাপ জিতেছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের ক্যাপ্টেন্সি করেনি কখনও।’’ ধোনিকে কেন অধিনায়ক হতে বলা হল? অমিতাভ বললেন, ‘‘মাহি থাকতে আর কাউকে অধিনায়ক বাছা যায় নাকি? তবে সবচেয়ে ভাল ব্যাপার হচ্ছে, মাহি রাজি হয়েছে অধিনায়কত্ব করার জন্য।’’
বিজয় হাজারেতে ৪৩ রানে বোল্ড হয়ে গেলেন। ‘ফিনিশার’ ধোনিকে দেখা হল না মাঠে হাজির ক্রিকেটপ্রেমীদের।
সত্যিই ধোনিকে দেখা গেল সেই আগের মতোই অধিনায়কের ভূমিকায়। বিশেষ করে পেসারদের ক্ষেত্রে ফিল্ডিং সাজানোর সময় পরিচিত সেই ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ভঙ্গি। কর্নাটক বড় রান তোলার দিকে এগোচ্ছে দেখেও স্লগ ওভারে বরফ-শীতল মস্তিষ্ক। আর তার জোরে ঝাড়খণ্ড বোলাররা স্লগে দারুণ বল করে ম্যাচে ফিরেও এল। যদিও ব্যাট হাতে জয় আনতে পারলেন না তিনি।
কর্নাটকের হয়ে মণীশ পান্ডে করেন ৭৭। তবে ধোনির দলের হয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন মনু কুমার ও রাহুল শুক্ল। শেষ উইকেটে তাঁরা ২৮ রান যোগ করেন। আইপিএল নিলামে চমক সৃষ্টি করা কে. গৌতম কর্নাটকের হয়ে চার উইকেট নেন।
চেন্নাইতে ২২৬ রান তাড়া করে অন্ধ্রপ্রদেশকে হারিয়েছে বাংলা। জয়ের দুই নায়ক শ্রীবৎস গোস্বামী (১১০ বলে ৬৬) এবং অনুষ্টুপ মজুমদার (৪৬ অপরাজিত)। অন্ধ্র প্রথমে ব্যাট করে ২২৫-৮ তুলেছিল। অশোক ডিন্ডা, প্রজ্ঞান ওঝা ও অনুষ্টুপ দু’টি করে উইকেট নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy