অনূর্ধ্ব-১৯ আইএফএ শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডার্বির চব্বিশ ঘণ্টা আগে দুই শিবিরে দু’রকম ছবি। লাল-হলুদ কোচ রঞ্জন চৌধুরী ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতে বিশেষ ক্লাস নিচ্ছেন। অথচ মোহনবাগান কোচ জো পল আনচেরি ফুটবলারদের চাপমুক্ত রাখতে ফাইনাল নিয়ে আলোচনাই করছেন না।
বুধবার বিকেলে ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। তাঁর কথায়, ‘‘আমার দলের অধিকাংশ ফুটবলারই কলকাতার বাইরে থেকে। ফলে আইএফএ শিল্ড ফাইনালের গুরুত্ব সম্পর্কে ওরা খুব একটা ওয়াকিবহাল নয়। তাই ওদের উদ্বুদ্ধ করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আনচেরির দর্শন সম্পূর্ণ আলাদা। আইএফএ শিল্ডে খেলার জন্য মৌলালির একটি হোটেলে রয়েছে মোহনবাগানের যুব দল। আনচেরি বলছিলেন, ‘‘ফাইনালের কথা বলে ফুটবলারদের উপরে চাপ বাড়াতে চাই না। ওদের বয়স খুব কম। তাই বলেছি, ফাইনাল নিয়ে না ভেবে ফুটবলটা উপভোগ করতে।’’
গত বছর আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মোহনবাগান। হেরে গিয়েছিল এফসি পুণে সিটির বিরুদ্ধে। সেই দলের ছয়-সাত জন এ বারও রয়েছেন মোহনবাগানে। আনচেরি তাদেরও বারণ করে দিয়েছেন গত বছর ফাইনালের কথা ভাবতে। শুধু তাই নয়। প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচ না দেখা সত্ত্বেও উদ্বিগ্ন নন। আনচেরি বলে দিলেন, ‘‘অচেনা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলাটা বরং সহজ বলেই আমি মনে করি। অনেক চাপমুক্ত হয়ে খেলা যায়।’’ আনচেরি আরও বললেন, ‘‘এ বারের আইএফএ শিল্ডে ইস্টবেঙ্গলের কোনও খেলা দেখিনি। শুনেছি শক্তিশালী দল ওদের। তবে আমি তা নিয়ে ভাবতে রাজি নই। আমাদের অস্ত্র দলগত সংহতি। ফাইনালেও তা বজায় রাখতে চাই।’’ ইস্টবেঙ্গল কোচ অবশ্য নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন। তিনি বললেন, ‘‘চার ম্যাচে ১৭ গোল করেছি আমরা। খেয়েছি মাত্র দু’টো গোল। কাগজে-কলমে আমরাই এগিয়ে।’’ মোহনবাগান এখনও পর্যন্ত গোল করেছে ১৩টি। খেয়েছে দু’টি। ইস্টবেঙ্গল আইএফএ শিল্ডে শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১২ সালে। মোহনবাগান জিতেছিল ২০০৩ সালে। আইএফএ শিল্ড অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতা হয়ে যাওয়ার পরে দুই প্রধানের কেউ-ই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আজ, বৃহস্পতিবার বারাসত স্টেডিয়ামে শাপমুক্তির অপেক্ষায় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান।
অনূর্ধ্ব-১৯ আইএফএ শিল্ড ফাইনাল: ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান (বারাসত স্টেডিয়াম, দুপুর ২.৩০)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy