ফাইল চিত্র।
করোনার নতুন সংক্রমণে জাপানে এখন কঠোর জরুরি অবস্থা চলছে। যা আর এক বার টোকিয়ো অলিম্পিক্সের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলছে।
শুধু টোকিয়ো নয়, জাপানের অনেক বড় শহরেই সংক্রমণ সাঙ্ঘাতিক বেড়ে গিয়েছে। সংক্রমিত অন্য শহরগুলির মধ্যে রয়েছে ওসাকা, কিয়োতো ও হয়োগো। পরিস্থিতি যে দিকে যাচ্ছে, তাতে শুক্রবারই হয়তো সে দেশে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। যা শুরু হয়েছিল গত ২৫ এপ্রিল।
অলিম্পিক্স শুরু হওয়ার কথা ২৩ জুলাই। মাঝখানে সময় খুব বেশি নেই। ইতিমধ্যেই জাপানের এক বড় অংশের মানুষ অলিম্পিক্স আয়োজনের বিরোধিতা করেছেন। বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ও চিন্তায় রেখেছে সংগঠকদের। শোনা যাচ্ছে, শেষপর্যন্ত অলিম্পিক্স হলেও কোনও দর্শক সম্ভবত স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারবেন না। এমনিতে অলিম্পিক্স হওয়ার কথা ছিল গত বছরই। কিন্তু অতিমারির জন্য তা বাতিল করতে হয়।
এ দিকে, এই কঠিন অবস্থার মধ্যেও বুধবার সাপ্পোরো শহরে একটি হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা হয়েছে। যাকে অলিম্পিক্স প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিদে সুগা-এর মন্ত্রীসভার সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা। সে দেশের প্রথম সারির এক দৈনিকের খবর, মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারটা মোটামুটি নিশ্চিত। তার কারণ এখনও সংক্রমণ আটকানো যাচ্ছে না। অবশ্য জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়লেও সেটা কত দিনের জন্য হতে পারে, তা পরিষ্কার নয়। ওসাকার রাজ্যপাল মনে করেন, নতুন করে জরুরি অবস্থার মেয়াদ অন্তত এক মাসের জন্য
হওয়াটা কাম্য।
যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, সেটা কার্যকর হলে অলিম্পিক্সের আগে আয়োজক কমিটির হাতে সময় পড়ে থাকছে খুবই কম। স্বভাবতই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ আদৌ এ বারও হবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এই ব্যাপারে এখনও প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ দিকে, এ’মাসের শেষেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রেসিডেন্ট থোমাস বাখের জাপান সফরে যাওয়ার কথা। সেই সফরও বাতিল হয়ে যেতে পারে। সঙ্গে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হলে অলিম্পিক্স বাতিলের দাবিও জোরদার হতেই পারে। অন্তত জনমত সমীক্ষা সে রকমই বলছে।
এমনিতে জাপানে এখন রেস্তরাঁ এবং বিনোদনমূলক সব কেন্দ্রই বন্ধ। সঙ্গে কোনও খেলাই দর্শকেরা স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারছেন না। তাই অলিম্পিক্স বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
অবশ্য আইওসি এবং সংগঠকরা এখনও দাবি করে যাচ্ছেন, কোনওকিছুই বাতিল হবে না। এমনকি বাখও আশঅবাস দিয়েছেন যে, সে রকম কোনও পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। সবকিছুই নাকি জাপান সরকারের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy