নোভাক জোকোভিচ। —ফাইল ছবি
এটিপি ক্রমতালিকায় এক নম্বর জায়গা হারাতে চলেছেন নোভাক জোকোভিচ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে টানা এক নম্বর জায়গা ছিল সার্বিয়ান তারকার দখলে। কিন্তু, দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে চেক প্রজাতন্ত্রের যোগ্যতা অর্জনকারী জিরি ভেসেলির কাছে অপ্রত্যাশিত পরাজয়ের জেরে শীর্ষচ্যুত হচ্ছেন জোকোভিচ। আগামী সোমবার এটিপি যে নতুন ক্রমতালিকা প্রকাশ করবে, তাতেই নতুন এক নম্বর হিসেবে দেখা যাবে রাশিয়ার তারকা দানিল মেদভেদভকে। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাবেন জোকোভিচ।
গত ১৩২ সপ্তাহ ধরে এক নম্বর জায়গা দখলে রেখেছিলেন ৩৪ বছরের তারকা। সব মিলিয়ে এটিপি ক্রমতালিকায় রেকর্ড ৩৬১ সপ্তাহ এক নম্বরে ছিলেন জোকোভিচ। শুধু এটিপি ক্রমতালিকায় শীর্ষ স্থান হারানোই নয়, বছরের শুরুতে সব থেকে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের যুগ্ম রেকর্ডও হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। অস্ট্রেলীয় ওপেনে রাফায়েল নাদাল ২১তম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন।
চলতি মরসুমে দুবাইয়ে প্রথম খেললেন পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। এর আগে করোনা টিকা না নেওয়ার জন্য তাঁকে অস্ট্রেলীয় ওপেনে খেলার অনুমতি দেয়নি সে দেশের সরকার। দুবাইয়ে পরাজয়ের পর জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘টেনিস খেলে যাওয়াই আমার লক্ষ্য। বরাবরই ভেবে এসেছি, যত দিন পারব তত দিন টেনিস খেলব। যত দিন শরীর আমাকে সঙ্গ দেবে তত দিন খেলব। চার পাশের পরিস্থিতি যত দিন অনুকূল থাকবে তত দিন খেলা চালিয়ে যাব। যত দিন মানুষ আমায় ঘিরে থাকবেন, সমর্থন করবেন তত দিন খেলব।’’ জোকোভিচ আরও বলেছেন, ‘‘এখনও আমি খেলার জন্য অনুপ্রাণিত হই। কোনও খেলায় হারলে বিরক্ত হই। এটা নিয়ে আমি যত্নবান। প্রতিটি খেলা জেতার জন্য একই রকম যত্নবান থাকি ট্যুরের যে কোনও খেলোয়াড়ের মতো। বয়স কোনও সমস্যা নয়। আমি খুশি কারণ এখনও প্রতি দিন আবেগ অনুভব করি খেলাটার সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য। ট্যুরের এক জন হিসেবে থাকতে পেরে।’’
বিশ্বের ১২৮ নম্বর ভেসেলির বিরুদ্ধে সেরা ছন্দে দেখা যায়নি জোকোভিচকে। ২৮ বছরের চেক খেলোয়াড়ের আক্রমণাত্মক টেনিসের তেমন জবাব দিতে পারেননি ২০টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। পারফরম্যান্স নিয়ে জোকোভিচ বলেছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যবশত দিনটা আমার ছিল না। জিরিকে অভিনন্দন। ও ভাল খেলেছে। ভাল শট নিয়েছে। দুর্দান্ত সার্ভ করেছে। সার্ভিস গেমগুলোয় আমাকে প্রচুর চাপে রেখেছিল। ওর নিচু এবং দ্রুত গতির ব্যাকহ্যান্ড দারুণ কার্যকরী।’’
ক্রমতালিকায় শীর্ষ স্থান হারানো নিয়ে অবশ্য বিশেষ চিন্তিত নন জোকোভিচ। বলেছেন, ‘‘যত বেশি ম্যাচ খেলব, কোর্টের সঙ্গে তত বেশি মানিয়ে নেব। আমার আরও ম্যাচ খেলা দরকার। কারণ গত কয়েক মাসে খুব বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। বয়স আমার টেনিস জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন কখনও ভাবি না। শারীরিক ভাবে দারুণ অনুভব করছি। এর অর্থ আমি আরও কিছু দূর যেতে পারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy