ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁবুতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে মজিদ ও জামশিদ। নিজস্ব চিত্র।
ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেন্দেজের দলের জন্য পরামর্শ মজিদ বাসকরের। কলকাতা ফুটবল লিগ শুরু হয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি চলছে ডুরান্ড কাপও। ডুরান্ডে দুটো ম্যাচ জিতে শেষ চারে পৌঁছনোর গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচেই পা হড়কেছে ইস্টবেঙ্গল। সামনে অবশ্য রয়েছে অনেক ম্যাচ। রয়েছে আইলিগ। দীর্ঘদিন আইলিগ জেতেনি লাল-হলুদ। কীভাবে মিলবে সাফল্য? ইরানি-তারকা জানিয়ে দিলেন সাফল্যের রসায়ন। মজিদের কথা মেনে চললে সাফল্য আসবেই ইস্টবেঙ্গলে।
ফুটবল মরসুম সবে শুরু হয়েছে। লাল-হলুদের স্পেনীয় কোচ দলটাকে এক সুতোয় বাঁধার চেষ্টা করছেন। সমর্থকরা আশা করছেন প্রিয় দল পাসের বিচ্ছুরণ ঘটাবে মাঠে, লাল-হলুদ-এর ঝলকানি দেখা যাবে সবুজ গালচেতে। আজ, সোমবার লাল-হলুদ ক্লাব তাঁবুতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক বৈঠকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঢুকে মজিদ বলে দিলেন, ‘‘ব্যক্তিগত দক্ষতায় সব ম্যাচ জেতা সম্ভব নয়। টিম গেম খেলতে হবে। তা হলেই সাফল্য পাওয়া যাবে।’’ মজিদের ছোট্ট টোটকা। শুনতে খুব সহজ মনে হলেও, মোটেও তা সহজ সরল নয়। দীর্ঘদিনের অভ্যাসের ফলেই একটা দল টিম হয়ে ওঠে। সেই অভ্যাসটার উপরেই জোর দিতে বলছেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ১২ নম্বর জার্সিধারী।
আরও পড়ুন: ম-জি-দ, ম-জি-দ শব্দে কেঁপে উঠল মধ্যরাতের বিমানবন্দর
শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে পুরনো ক্লাবের খেলা দেখা হয়নি তাঁর। মাঝেমধ্যে তাঁর কাছে একটা-দুটো খবর এসেছে লাল-হলুদের। কিন্তু, সেই সব খবর থেকে এখনকার ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা তৈরি হয়নি মজিদের মনে। এ দিন ক্লাব-তাঁবুতে পা রেখে দেখলেন বহিরঙ্গে তাঁর পুরনো ক্লাবের অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। জার্সির ডিজাইন আগের থেকে বদলে গিয়েছে। মজিদের এ সব জানাই ছিল না। সময়ের নিয়মে কোচের রিমোট কন্ট্রোল চলে গিয়েছে বিদেশি কোচের হাতে। সেটাও তাঁর কাছে অজানাই থেকে গিয়েছিল। ভেবেছিলেন এই শহর তাঁর কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছে। কলকাতায় পা রেখে ভুল ভাঙল বাদশার। তাঁকে ভোলেনি এই শহর। এখনও ম-জি-দ, ম-জি-দ নামে জয়ধ্বনি ওঠে। ঠিক যেমন আগে উঠত। কত ম্যাচ একাই তিনি বের করে দিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। তাঁর খেলা একবার যে দেখেছেন, তাঁর মনে থেকে যাওয়ারই কথা। নিজের খেলা প্রসঙ্গে মজিদ বলেন, ‘‘আমি লিঙ্কম্যান ছিলাম।’’ মাঝমাঠ ও আক্রমণের মধ্যে সেতুবন্ধের কাজ করতেন মজিদ। ব্যক্তিগত স্কিলে তাঁর কাছাকাছি নেই অনেকেই। রোভার্স কাপ ফাইনালে মজিদের ভলি জাল কাঁপিয়ে দিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। মৃদু হেসে মজিদ বলেন, ‘‘রোভার্স ফাইনালে ওই গোলটার কথা খুব মনে পড়ছে। মহমেডানের গোলকিপার ছিল ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়। ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান যুগ্ম ভাবে জয়ী হয়েছিল সে বারের রোভার্সে।’’ আর সেরা ম্যাচ? এক মুহূর্তও না ভেবে মজিদ রোভার্স কাপ থেকে দার্জিলিং গোল্ড কাপের স্মৃতিতে ডুব দেন। বলেন, ‘‘দার্জিলিং গোল্ড কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে একসময়ে ইস্টবেঙ্গল দু’ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল। পরে আমরা তিন গোল করে ম্যাচ ৩-২ জিতে নিই।’’
তাঁর সময়ের সেরা ডিফেন্ডার কে? প্রশ্ন শুনে মজিদের জবাব, ‘‘সুব্রত। খুব টাফ ডিফেন্ডার ছিল।’’ সুব্রত এখন যে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কোচ তা শুনেছেন তিনি। পুরনো ক্লাবে পা রেখে নস্ট্যালজিক ইরানি-তারকা। সেই সঙ্গে মেনেন্দেজের দলকে ট্রফি জেতার প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়ে গেলেন মজিদ বাসকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy