স্বপ্ন: ঘরোয়া ক্রিকেটে সফল হতে মরিয়া বিজয়। ফাইল চিত্র
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমারের জায়গায় ১৫ জনের ভারতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি ঠিকই, কিন্তু বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মাদের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে সময় কাটাতে পেরে আপ্লুত তামিলনাড়ুর অধিনায়ক বিজয় শঙ্কর। শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে অনুশীলন শেষে আনন্দবাজার-কে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ২৬ বছরের এই অলরাউন্ডার।
নাগপুরে তৃতীয় টেস্টের আগে ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অথচ কখনও তাঁর মনে হয়নি যে, এই দলে তিনি এক নতুন সদস্য। বিজয় বলেন, ‘‘ভারতীয় দলের পরিবেশ এক কথায় দারুণ। এত ভাল অনুভূতি কখনও হয়নি। কোনও জিনিস বুঝতে অসুবিধে হলে প্রত্যেকে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টা করত। পাশাপাশি বিরাট (কোহালি), রোহিত-দের (শর্মা) অনুশীলন সামনে থেকে দেখতে পেরেছি। এটাই আমার সৌভাগ্য।’’
রঞ্জি ট্রফি ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে এসেছেন বিজয়। ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই অর্ধশতরান করেছিলন তিনি। ভারতীয় ‘এ’ দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই অলরাউন্ডারের। তবে টেস্ট দলে ডাক পেয়ে যেন বাড়তি আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন বিজয়। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক ভারতীয় ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে সে দেশের হয়ে টেস্ট খেলবে। আমিও সেই স্বপ্নই দেখি। দলে ডাক পাওয়ার পরে যেন অদ্ভুত একটা শক্তি পাচ্ছিলাম। চোখের সামনে তারকাদের প্রস্তুতি দেখে এবং তাদের সঙ্গে খেলতে পেরে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে অনেক। এই টুর্নামেন্টেও সেটা আমার কাজে লাগছে।’’
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নাগপুর টেস্টে বিজয় ছাড়াও সেই দলে ছিলেন তাঁর রঞ্জি দলের দুই সদস্য— আর. অশ্বিন ও মুরলী বিজয়। এই দুই ক্রিকেটার দলে থাকায় কি কোনও বাড়তি সুবিধে পেয়েছেন বিজয়? তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রত্যেকের সঙ্গেই সমান ভাবে মিশেছি।’’
ঋদ্ধিমান সাহার হ্যামস্ট্রিংয়ে আঘাত লাগার পরে তাঁর জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যেতে হচ্ছে তামিলনাড়ুর অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিককে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দ্বিতীয় রাউন্ডে তাই কার্তিকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারবেন না বিজয়। তবে সেই নিয়ে কোনও সমস্যা দেখছেন না দলের অধিনায়ক। ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সদ্য অভিষেক হওয়া ওয়াশিংটন সুন্দরই এখন অধিনায়কের অন্যতম শক্তি। বিজয় বলেন, ‘‘ভারতীয় দলে খেললে আত্মবিশ্বাস বাড়বেই। ওয়াশিংটন-কে (সুন্দর) দেখেই বোঝা যায়। তবে ভারতীয় দলে কার্তিক আবার সুযোগ পাওয়াতে আমি খুশি। ওকে ছাড়া আমাদের খুব একটা অসুবিধে হওয়ায় কথা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy