Advertisement
১০ নভেম্বর ২০২৪
T20 World Cup 2024

ভারত-পাক ম্যাচের মাঠে ১০৪ রান তাড়া করতে হোঁচট খেল দক্ষিণ আফ্রিকা, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জয়

আরও এক বার নজর কাড়ল নিউ ইয়র্কের মাঠের পিচ। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ১০৪ রান তাড়া করতে নেমে সমস্যা হল দক্ষিণ আফ্রিকার। কোনও রকমে জিতল তারা।

cricket

নেদারল্যান্ডসের উইকেট পড়ার পরে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: এক্স।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ২৩:৩১
Share: Save:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও এক বার নজর কাড়ল নিউ ইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামের পিচ। এই মাঠেই রবিবার হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তার আগে শনিবারের ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকা দু’দলের ব্যাটারেরাই সমস্যা পড়লেন। প্রতিটি রানের জন্য লড়তে হল তাঁদের। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করে নেদারল্যান্ডস। সেই রান তাড়া করতে নেমেও সমস্যায় পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। কোনও রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার নায়ক ডেভিড মিলার। অর্ধশতরান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।

টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। প্রথম ওভারেই উইকেট নেন মার্কো জানসেন। মাইকেল লেভিটকে শূন্য রানে ফেরান তিনি। সেই শুরু। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে শুরু করে। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই তিন উইকেট হারায় নেদারল্যান্ডস।

নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারদের মধ্যে সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্‌ট ও লোগান ভ্যান ভিক জুটি বাঁধেন। ৪৮ রানে ৬ উইকেট থেকে দলকে শতরান পার করান তাঁরা। রানের গতি কম থাকলেও উইকেট হারাননি তাঁরা। এই পিচে ভাল ব্যাট করেন এঙ্গেলব্রেখ্‌ট। ৪০ রান করে আউট হন তিনি। ভ্যান বিক করেন ২৩ রান। ১০৩ রানে শেষ হয় নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেদর মধ্যে ওটনেইল বার্টম্যান ৪টি এবং জানসেন ও আনরিখ নোখিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুটা আরও খারাপ হয়। প্রথম বলেই রান আউট হন কুইন্টন ডি’কক। রিজা হেনড্রিক্স, মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেনও রান পাননি। ১২ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। দেখে মনে হচ্ছিল, আরও এক বার নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।

সেখান থেকে ইনিংস ধরেন মিলার। ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগান মিলার। কেন তাঁকে এই দলের মেরুদণ্ড বলা হয় তা দেখালেন বাঁহাতি ব্যাটার। তরুণ স্টাবসও কঠিন পরিস্থিতিতে ভাল খেললেন। তাড়াহুড়ো করেননি তাঁরা। ধীরে ধীরে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান।

৩৩ রান করে স্টাবস আউট হলে আবার জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করে নেদারল্যান্ডস। কিন্তু মিলার তখনও ছিলেন। অন্য কারও উপর ভরসা করেননি তিনি। শেষ দিকে কয়েকটি বড় শট মারেন মিলার। সাত বল বাকি থাকতে ছক্কা মেরে দলকে জেতান তিনি। ৫১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মিলার।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE