গুলবদিন নইবকে জড়িয়ে ধরে আদর রশিদ খানের। ছবি: পিটিআই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই চলল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। মঙ্গলবার খেলতে নামা আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের যেমন সুযোগ ছিল। তেমনই এই ম্যাচের উপর নির্ভর করছিল অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য। তিন দলের কাছেই সুযোগ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান। ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়া।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে সেই রান করতে হত ১২.১ ওভারে। কিন্তু সেটা করতে পারলেন না শাকিব আল হাসানেরা। বৃষ্টির কারণে বার বার বন্ধ হল খেলা। বাংলাদেশের লক্ষ্যও বদলে গিয়েছিল। জয়ের জন্য ১৯ ওভারে ১১৪ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ।
সুপার ৮-এ ভারতের বিরুদ্ধে হারলেও অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতল আফগানিস্তান। চার পয়েন্ট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেন রশিদেরা। তাঁদের খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এক বার মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে। দ্রুত রান তুলছিলেন লিটন দাসেরা। কিন্তু পঞ্চম উইকেট পড়ার পরেই হঠাৎ থমকে যায় বাংলাদেশ। সেই সময় লিটনদের খেলা দেখে মনে হচ্ছিল ১২.১ ওভারে জিতলে তাঁদের সেমিফাইনালে ওঠার যে সুযোগ রয়েছে, তা ভুলেই গিয়েছেন। সেটার কৃতিত্ব দিতে হবে রশিদ এবং নুর আহমেদকেও। তাঁদের স্পিন বুঝতে সমস্যা হচ্ছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
উইকেট নেওয়ার শুরুটা করেছিলেন ফজলহক ফারুকি এবং নবীন উল হক। ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট চলে যায় বাংলাদেশের। মিডল ওভারে দাপট দেখালেন রশিদ। তিনি ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। অন্য দিকে, নুর উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিলেন ১৩ রান। তাতেই সমস্যায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। তাদের হারের নেপথ্যে অবশ্যই রয়েছে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা।
দায় নিতে হবে লিটনকেও। তিনিই একমাত্র ব্যাটার, যিনি শেষ পর্যন্ত ছিলেন। কিন্তু অপরাজিত লিটন বার বার এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দিলেন তানজিম হাসান শাকিব, তাসকিন আহমেদদের। অনেক সময়ই দেখা গেল শেষ বলে রান না নিলে লিটনের ব্যাট করার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু সেখানে এক রান নিল বাংলাদেশ। অনেক সময় আবার ওভারের প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে দলের বোলারদের ব্যাট করতে দিলেন অর্ধশতরান করা লিটন। তিনি বেশি বল খেলার চেষ্টা করলে হয়তো জিতে যেত বাংলাদেশ।
ম্যাচের সেরার পুরস্কার দেওয়া হয় নবীনকে। তিনি ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। তবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে সেরার পুরস্কার পাওয়ার দাবিদার ছিলেন রশিদও। তিনি ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। গুরুত্বপূর্ণ সময় রান আটকে দেন। সেই সঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না ব্যাট হাতে রশিদ তিনটি ছক্কা মারেন। তাঁর ১০ বলের ইনিংসে ওই তিনটি ছক্কা দলকে লড়াই করার জমি দেয়। রশিদ ওই রানটা না করলে হেরেও যেতে পারত তাঁর দেশ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আফগানিস্তান খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ২৭ জুন সকালে হবে সেই সেমিফাইনাল। সেই দিনই রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে ভারত এবং ইংল্যান্ড। ফাইনাল ২৯ জুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy