Advertisement
০২ জুলাই ২০২৪
T20 World Cup 2024

৫ কারণ: কী ভাবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ভারত

খাদের কিনারায় থাকার পরেও কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তার প্রমাণ শনিবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। ভারতের জয়ের নেপথ্যে বিবিধ কারণ রয়েছে। সেগুলি খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।

cricket

ভারতীয় ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস। ছবি: পিটিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪ ০০:৩২
Share: Save:

খাদের কিনারায় থাকার পরেও কী ভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, তার প্রমাণ শনিবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। জেতার পরিস্থিতি থেকেও ভারতের হাত থেকে প্রায় বেরিয়ে গিয়েছিল ম্যাচ। দু’টি ওভার ঘুরিয়ে দিল খেলা। এ ছাড়াও ভারতের জয়ের নেপথ্যে বিবিধ কারণ রয়েছে। সেগুলি খুঁজে বার করল আনন্দবাজার অনলাইন।

১) হার্দিককে বোলিং আক্রমণে আনা

দশম ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যকে দিয়ে একটি ওভারই করিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। তার পরের দিকে হেনরিখ ক্লাসেনের ব্যাটিংয়ের সামনে স্পিনারেরা বেধড়ক মার খাওয়ার পর কিছুটা বাধ্য হয়েই হার্দিককে এনে ফাটকা খেলেছিলেন রোহিত। সেটাই কাজে লেগে গেল। ১৭তম ওভারে হার্দিককে আনাই ম্যাচের অন্যতম সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকল। প্রথম বলেই বিপজ্জনক ক্লাসেনকে আউট করেন তিনি। সেই ওভারে মাত্র চার রান করেন তিনি। শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট করেন আর এক বিপজ্জনক ব্যাটার ডেভিড মিলারকেও। এই দু’টি আউটই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পাশাপাশি বুমরাকে আক্রমণে ফেরানোও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিভিন্ন মাঠে স্পিনারেরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা নিচ্ছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের কাছে স্পিনার অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল। ১৬তম ওভারে বুমরাকে এনে এক ধাক্কায় প্রোটিয়াদের রানের গতি কমিয়ে দেন সেখানে।

২) সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ

২০তম ওভারের প্রথম বলে ডেভিড মিলারের যে ক্যাচটা সূর্যকুমার যাদব নিলেন, তা শুধু এই বিশ্বকাপ নয়, ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্যাচ হয়ে থাকল। ওই সময় মিলারের শট ছয় হয়ে গেলে নিশ্চিত ভাবে ভারত হারত। চাপের মুখে বাউন্ডারির ধারে প্রথমে সূর্যকুমার ক্যাচ ধরলেও শরীরের ভারসাম্য না রাখতে পেরে বল উপরে ছুড়ে দেন। বাউন্ডারি ও পারে চলে গিয়েও দ্রুত এ পারে এসে ক্যাচ ধরেন।

৩) কোহলির মূল্যবান ৭৬ রান

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে জেতার পর রোহিত বলেছিলেন, ফাইনালের জন্য সেরাটা তুলে রেখেছেন কোহলি। ঠিক সেটাই হল। এ দিন রোহিত শুরুতে আউট হন। পর পর ফিরে যান সূর্যকুমার যাদব, ঋষভ পন্থ। কোহলি চালিয়ে শুরু করলেও কিছুটা ধরে খেলেন। তার পরে আবার আগ্রাসী খেলে প্রায় শেষ পর্যন্ত থেকে যান।

৪) অক্ষরকে আগে নামানো

রোহিত, সূর্য এবং পন্থ পর পর আউট হয়ে যাওয়ায় আচমকাই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। সেই সময় কোহলির পাশে দরকার ছিল এমন একজন, যিনি সেই মুহূর্তে বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ধরে খেলতে পারেনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে নীতি নিয়েছিল, এ দিনও সেই পথেই হাঁটল। শিবম দুবে বা হার্দিক পাণ্ড্যকে না নামিয়ে অক্ষরকে নামানো হল। কোহলির সঙ্গে জুটি বেধে দলকে নির্ভরযোগ্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া এবং ৪৭ রানের ইনিংসের তুলনা কোনও কিছুর সঙ্গেই সম্ভব নয়।

৫) দক্ষিণ আফ্রিকার ছন্দপতন

১৫ ওভারের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ বলে ৩০ রান দরকার ছিল। সেই সময় ক্রিজ়‌ে ছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারের মতো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার। সেখান থেকেও যে প্রোটিয়ারা হেরে যেতে পারে, সেটা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কেন তাদের ‘চোকার্স বলা হয়, এটাই তার প্রমাণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE