রবিবার মুখোমুখি ভারত এবং পাকিস্তান। —ফাইল চিত্র
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান লড়াই একেবারেই একপেশে। মোট পাঁচ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। সব ম্যাচেই জিতেছে ভারত।
২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দু’ বার সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই দলের। প্রথমে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ টাই হয়ে যায়। ভারত শেষ পর্যন্ত বোল আউটে জেতে। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান তোলে। রবিন উথাপ্পা ৩৯ বলে ৫০ রান করেন। পাকিস্তানের মহম্মদ আসিফ ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। জবাবে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪১ রান করে। মিসবা উল হক ৩৫ বলে ৫৩ রান করেন। ইরফান পাঠান ২০ রানে ২ উইকেট নেন। বোল আউটে জেতে ভারত। ম্যাচের সের হন আসিফ।
সেই বছর ফাইনালেও মুখোমুখি হয় দুই দল। ভারত প্রথমে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে। গৌতম গম্ভীর ৫৪ বলে ৭৫ রান করেন। উমর গুল ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে ১৫২ রানে শেষ হয়ে যায়। মিসবা ৩৮ বলে ৪৩ রান করেন। ইরফান পাঠান মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তিনিই ম্যাচের সেরা হন।
২০১২ সালে গ্রুপ পর্বে ভারত জেতে ৮ উইকেটে। প্রথমে পাকিস্তান ১৯.৪ ওভারে ১২৮ রান করে। শোয়েব মালিক ২২ বলে ২৮ রান করেন। লক্ষ্মীপতি বালাজি ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। জবাবে তিন ওভার বাকি থাকতে ভারত ২ উইকেটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। বিরাট কোহলী ৬১ বলে ৭৮ রান করে ম্যাচের সেরা হন।
২০১৪ সালেও গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয় দুই দল। পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩০ রান করে। উমর আকমল ৩০ বলে ৩৩ রান করে। অমিত মিশ্র ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। ভারত ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জিতে যায়। কোহলী ৩২ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
২০১৬ সালে সুপার ১০ পর্বে ভারত ৬ উইকেটে জয়ী হয়। বৃষ্টির জন্য ১৮ ওভারের খেলা হয়। পাকিস্তান ৫ উইকেটে ১১৮ রান তোলে। শোয়েব মালিক ১৬ বলে ২৬ রান করে। আশিস নেহরা ও রবীন্দ্র জাডেজা দু’জনেই ২০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ভারত ১৫.৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১১৯ রান তুলে জিতে যায়। কোহলী ৩৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের মহম্মদ সামি ১৭ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন কোহলী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy