ভারতীয় পতাকা হাতে সায়নী দাস। ছবি: সংগৃহীত।
নর্থ চ্যানেল জয় করে বাংলার মুকুটে ফের একটি পালক জুড়লেন পূর্ব বর্ধমানের সায়নী দাস। সব বাধা তুচ্ছ করে নর্থ চ্যানেল জয় করলেন কালনার তরুণী। ভারতের প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসাবে এই সাফল্য পেলেন তিনি। সায়নীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
নর্থ চ্যানেল পার করতে সায়নী সময় নিলেন ১৩ ঘন্টা ২২ মিনিট। শনিবার ভোর ৩টের সময় সেই খবর এসে পৌঁছয় কালনার বাড়িতে। তার পর থেকেই খুশির হাওয়ায় ভাসছে তাঁর পরিবার। বিভিন্ন বাধা পেরিয়ে প্রায় ৪৮ কিলোমিটার সাঁতার কেটে নর্থ চ্যানেল জয় করে দেশের পতাকা তোলেন সায়নী।
চলতি বছরের এপ্রিলে নিউ জ়িল্যান্ডের কুক স্ট্রেইট চ্যানেল জয় করেছিলেন সায়নী। দ্বিতীয় বাঙালি মহিলা হিসাবে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। পাঁচটি চ্যানেল জয়ের নজির গড়লেন সায়নী। সঙ্গে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে নর্থ চ্যানেল জয়ের রেকর্ডও গড়েন ২৬ বছরের সায়নী। তাঁর বাবা প্রাক্তন শিক্ষক রাধেশ্যাম দাস বলেন, “এই জয় যে খুব সহজে এসেছে তা নয়। বরং আগের চারটি চ্যানেল জয়ের থেকেও কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়েছে সায়নীকে। তিন ঘণ্টায় মাত্র ১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পেরেছে সায়নী। এছাড়াও জলের টান ও জেলিফিসের জন্য কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়েছে। এখন বাকি রইল সুগারু ও জিব্রাল্টার চ্যানেল।”
আর দু’টি চ্যানেল জয় করতে পারলেই সায়নীর মাথায় উঠবে ওশান সেভেন মুকুট। তাঁর সাফল্যে খুশি মনোজ সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আমাদের গর্ব সায়ানী দাস। ওঁকে অভিনন্দন। ১৩ ঘণ্টা ২২ মিনিটে নর্থ চ্যানেল পার করেছেন। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে নর্থ চ্যানেল পার করলেন তিনি। দেশ আপনার জন্য গর্বিত। আজ বাঙালির গর্বের দিন।” রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ সায়নীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “উনি শুধু কালনা বা পূর্ব বর্ধমানের গর্ব নন, গোটা বাংলা ও দেশের গর্ব।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারও সায়নীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy