অভিযুক্ত: সুশীলের মনোভাব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফাইল চিত্র
বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে খেলা নিশ্চিত করলেন সুশীল কুমার। নয়াদিল্লিতে ইন্দিরা গাঁধী স্টেডিয়ামে ট্রায়ালে ভারতের অভিজ্ঞ এই কুস্তিগির ৪-২ হারালেন জিতেন্দ্র কুমারকে। ৭৪ কেজি বিভাগে এই লড়াই দেখতে তুমুল উৎসাহ ছিল। প্রচুর মানুষ ভিড় করেন।
প্রথম পর্বে সুশীল ৪-০ এগিয়ে যান। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে তেড়েফুঁড়ে লড়াই করেন জিতেন্দ্র। বিশ্ব আসরে খেলা নিশ্চিত করতে আগ্রাসী ও মরিয়া সুশীল এই সময় জিতেন্দ্রর চোখ মারাত্মক ভাবে জখম করেন। প্রায় এক বছর পরে কুস্তিতে ফেরা সুশীল অবশ্য এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন।
জিতেন্দ্র পরে বিরক্তি প্রকাশ করেন, ‘‘সবাই দেখেছে ও (সুশীল) কী ভাবে লড়েছে। আমি শুধু কুস্তিটাই লড়ছিলাম। ও কিন্তু অন্য কিছু করছিল। চোখে আঘাত পাওয়ার পরে তো দেখতেই পাচ্ছিলাম না।’’ ম্যাচ হেরে জিতেন্দ্র আরও বলেন, ‘‘এই ম্যাচটার জন্য দারুণ তৈরি হয়েছি। কিন্তু ভাল ভাবে খেলার সুযোগ পেলাম না। তার উপর মাঝেমাঝে ও অকারণে বিরতি নিচ্ছিল।’’
হারের ফলে কুস্তির বিশ্ব আসরের ৭৪ কেজি বিভাগে নামতে পারবেন না জিতেন্দ্র। তবে তিনি ৭৯ কেজিতে নামার আর একটা চেষ্টা করবেন। যে কারণে ট্রায়ালের এই টুর্নামেন্টে তিনি ৭৯ কেজি বিভাগে বিজয়ী বীরদেব গুলিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। জিতেন্দ্র বলেছেন, ‘‘আগামী দু’একদিনে আমার সুস্থ হয়ে যাওয়া উচিত। চেষ্টা করব ৭৯ কেজি বিভাগের জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার।’’ এ দিকে, জিতেন্দ্রর মতোই তাঁর কোচ জয়বীরও সুশীলকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তাঁর দাবি, জিতেন্দ্রকে অন্যায় ভাবে হারানো হয়েছে।
এত অভিযোগের সামনে সুশীল নিজে বলেছেন, ‘‘ইচ্ছে করে ওকে আহত করিনি। জিতেন্দ্র ছোট ভাইয়ের মতো। লড়াইটা খুব ভাল হয়েছে। এ দেশে এ রকম ম্যাচ যত হবে, তত উন্নতি করব।’’ সুশীল যোগ করেন, ‘‘আমি কখনও হিংস্র ভাবে লড়ি না।’’ সুশীলের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় সংস্থার প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘বিনেশ ফোগতেরও হাঁটু ভেঙেছিল। তার মানে কি সেটা ইচ্ছে করে করা? মোটেই না। কুস্তিতে এ রকম হতে পারে। এই খেলাটায় কেউ নিজেদের হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে নামে না।’’ জাতীয় সংস্থার সহ সচিব বিনোদ টোমারকে প্রশ্ন করা হয়, যোগ্যতা অর্জনের পরেও গুইলাকে কেন জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে লড়তে বাধ্য করা হবে। টোমারের জবাব, ‘‘আমাদের লক্ষ্য বিশ্বচ্যাম্পিয়শিপে শক্তিশালী দল পাঠানোর। যে কারণে লড়াইটায় সম্মতি দিয়েছি। জিতেন্দ্র খুবই ভাল কুস্তিগির। ওকে আর একটা সুযোগ দেওয়াই যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy