সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তি পেলেন বাঙালি ব্যাডমিন্টন তারকা লক্ষ্য সেন। তাঁর বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কর্নাটক হাই কোর্ট। সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কর্নাটক হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গিয়েছিল লক্ষ্যের হলফনামা। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই নির্দেশের পরেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন লক্ষ্য। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত লক্ষ্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করা যাবে না। ১৬ এপ্রিল হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০২২ সালে লক্ষ্য, তাঁর দাদা চিরাগ সেন, বাবা ডিকে সেন, মা নির্মলা সেন ও কোচ বিমল কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নাগরাজ এমজি নামের এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ ছিল, জুনিয়র স্তরে জাতীয় প্রতিযোগিতা খেলার জন্য আড়াই বছর করে বয়স কমিয়েছেন লক্ষ্য ও চিরাগ। তাতে প্রতিযোগিতায় বাকিদের থেকে সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা। লক্ষ্যের এখন বয়স ২৩। নাগরাজের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে বয়স আড়াই বছর কমানো আছে তাঁর। প্রথমে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে মামলা গড়ায় কর্নাটক হাই কোর্টে।
এই মামলায় লক্ষ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কর্নাটক হাই কোর্ট। হলফনামায় লক্ষ্য জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারকে কালিমালিপ্ত করার চক্রান্ত করা হয়েছে। তাঁর কেরিয়ারের ক্ষতি করার জন্য ইচ্ছা করে এই অভিযোগ করেছেন নাগরাজ। সেখানে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালে প্রকাশ পাড়ুকোন ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হতে পারেননি নাগরাজের কন্যা। সেই সময় সেই অ্যাকাডেমিতে খেলতেন লক্ষ্য। কন্যা ব্যর্থ হওয়ায় ইচ্ছা করে সেন পরিবারকে নিশানা করছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
লক্ষ্যের এই হলফনামায় খুশি হননি বিচারপতি। তিনি সেই হলফনামা খারিজ করে দেন। তাঁর মতে, নাগরাজের অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত করার অনেক কারণ রয়েছে। সেই কারণে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল।
ভারতের হয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ, টমাস কাপে সোনা ও এশিয়ান গেমসে রুপো জিতেছেন লক্ষ্য। কমনওয়েল্থ গেমসে সোনা ও রুপো জিতেছেন। অল ইংল্যান্ডে রানার্স হয়েছেন। সামনেই আবার অল ইংল্যান্ড প্রতিযোগিতা রয়েছে। তার আগে আইনি জটিলতায় লক্ষ্য। এখন দেখার পরবর্তী শুনানিতে মামলা কোন পথে এগোয়।