ভক্ত: দ্বিতীয় টেস্টে বিরাটদের হয়ে গলা ফাটাবেন সুধীর। ফাইল চিত্র
তড়িঘড়ি কলকাতায় আসার উদ্দেশ্য পূরণ করেই বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেনে বাড়ি ফিরে গেলেন সচিন-ভক্ত সুধীর গৌতম। দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই গ্যালারিতে বসে ভারতীয় দলকে সমর্থন করতে পারবেন তিনি।
তেরঙ্গায় রাঙানো তাঁর শরীর, হাতে শঙ্খ ও বুকের উপরে লেখা 'তেন্ডুলকর' গ্যালারির শোভা বাড়িয়ে তুলত। দেশে-বিদেশে ভারতের প্রত্যেকটি ম্যাচেই গ্যালারিতে থাকতেন তিনি। স্পনসরের সহায়তায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতীয় দলের সঙ্গে যাত্রা করতেন। কিন্তু করোনা অতিমারি তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেয় সব স্পনসর। সংসার কী ভাবে চালাবেন, তা ঠিক করে উঠতে পারছিলেন না। শেষে দিল্লিতে গিয়ে ট্যাক্সিচালকের কাজ করতে শুরু করেছিলেন ক্রিকেটভক্ত সুধীর।
ভারতের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট ফিরে আসায় তিনি আর বাড়িতে বসে থাকতে পারেননি। দলকে সমর্থন করতে যাওয়ার অনুমতি চাইতে এসেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু ২৭ জানুয়ারি কলকাতা পৌঁছেই সুধীর জানতে পারেন, সৌরভ হাসপাতালে ভর্তি। পরের দিন হাসপাতালের সামনে টানা আট ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও সচিন তেন্ডুলকরের প্রিয় ওপেনিং পার্টনারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেননি। সুধীর ঠিক করেছিলেন, দাদার থেকে অনুমতি না-নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরবেনই না। তাই টানা আট দিন থেকে যান বাঘাযতীনে বন্ধুর ফ্ল্যাটে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সৌরভের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন সুধীর। বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজে তাঁর সঙ্গে দেখা করে ম্যাচ দেখার ‘ভিআইপি’ টিকিট জোগাড় করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। ৯ ফেব্রুয়ারি চেন্নাই যাওয়ার টিকিট কেটে ফেলেছেন সুধীর। দিল্লি থেকে ট্রেনে উঠে চেন্নাইয়ে যাওয়া এবং মাঠে ফেরার আনন্দে আত্মহারা তিনি।
সুধীর বললেন, “বিশ্বাস ছিল, দাদা খালি হাতে ফেরাবেন না। বেহালার বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তাঁকে খুলে বলি। দাদা তো শুনে অবাক হয়ে যান।” যোগ করেন, “দাদা শুরুতে বলেন, আমদাবাদ টেস্টে যেতে। আমি চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই যেতে চাই। দাদা অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, দ্বিতীয় টেস্টের টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy