বিধ্বস্ত: অনুশীলন চলছে। কিন্তু মাঠের বাইরে খালিদ। ফাইল চিত্র
যা বলেছিলেন সেটাই করে দেখালেন সুভাষ ভৌমিক।
খালিদ জামিলকে বসিয়ে রেখে টানা চল্লিশ মিনিট ফুটবলারদের নিয়ে অনুশীলন করালেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ। কর্তাদের সঙ্গে চেয়ারে বসে শুক্রবার সকালে মন দিয়ে তা দেখলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
শুধু তাই নয়, খালিদ মাঠে বসে আছেন দেখেও অনুশীলনের পরে তাঁর সঙ্গে কথা না বলে সোজা ড্রেসিংরুমে চলে যান সুভাষ। খালিদ গিয়ে বসেন মূল তাঁবুর বাইরের একটি ঘরে। এক মাত্র মহম্মদ আল আমনা ছাড়া কোনও ফুটবলারকেই দেখা যায়নি খালিদের সঙ্গে কথা বলতে। আমনা তাঁর কোচকে দেখে অবশ্য জড়িয়ে ধরলেন।
ঘণ্টা দেড়েকের অনুশীলনে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি চলার পর বরফ অবশ্য কিছুটা গলে দুপুরের দিকে। অনুশীলনের পরে ক্লাবের এক শীর্ষ কর্তার সঙ্গে খালিদ এবং সুভাষের বৈঠক হয়। লাল-হলুদের টিডি হিসেবে আসিয়ানজয়ী কোচের নাম ঘোষণার দশ দিন পর সুভাষ ও খালিদ এ দিন ফের মুখোমুখি বসলেন। বৈঠকের পরে কর্তারা জানান, সুপার কাপে কাদের দলে নেওয়া হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব খালিদকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, আলোচনার সময় সুভাষ তাঁর বিখ্যাত ম্যান ম্যানেজমেন্টের ‘ওষুধ’ প্রয়োগ করেছেন। আবার মলমও দিয়েছেন। এক কর্তা মজা করে বললেন, ‘‘কিছু লোক আছে শুরুতেই সব কিছু মেনে নেয়। কিছু লোক সময় নেয়। খালিদ সময় নিচ্ছে। সুভাষ-কে যে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে সেটা ও বুঝে গিয়েছে।’’
কিন্তু আজ, শনিবার খালিদ কি আল আমনাদের অনুশীলন করাবেন? তা নিয়ে অবশ্য এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। খালিদ এ দিন বলেছেন, ‘‘আমি এখনও অসুস্থ। সুস্থ হয়ে গেলেই মাঠে নামব।’’ তাঁকে প্রশ্ন করা হয় ডাক্তার কী বলছেন? খালিদ বলেন, ‘‘ডাক্তার বিশ্রাম নিতে বলেছেন।’’ তবে এ দিনের সভার পরে সবাই ধরে নিয়েছেন, শনিবার থেকেই মাঠে নেমে পড়বেন খালিদ। কিন্তু কোচ মাঠে নামলে টিডি-র কাজ কী হবে? সুভাষের মন্তব্য, ‘‘খালিদ যদি কাল (শনিবার) নামে তখন দেখবেন।’’
খালিদ এবং সুভাষকে নিয়ে নানা নাটক দেখে অবশ্য ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বসলেন ইউসা কাতসুমি। লাল-হলুদের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার এ দিন বলে দিলেন, ‘‘মাঠে এক জন কোচ থাকাই ভাল। দু’জন কোচ থাকলে কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন? দু’জনে যুদ্ধ করলে তো ফুটবলারদের-ই সমস্যা হবে। টিডি আর কোচ তো একই কাজ করবেন।’’
বিতর্ক এড়াতে খালিদ-কে ফুটবলারদের নামের তালিকা দিতে বললেও সুপার কাপের দলগঠনে যে সুভাষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, সেটা নিয়ে সংশয় নেই। কারণ লাল-হলুদের টিডি বলে দিলেন, ‘‘নতুন আসা খালিদ আউচো শরীরিক ভাবে ফিট। জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েও উগান্ডা যায়নি। সুপার কাপে ও প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলবে।’’ অনুশীলনে এ দিন হেড করতে উঠে গোড়ালিতে চোট পান এদুয়ার্দো ফেরিরা। স্ট্রেচারে করে তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। সূত্রের খবর, এমআরআই পরীক্ষা হয়েছে ব্রাজিলিয়ান স্টপারের। চোট গুরুতর নয়। সুভাষ বললেন, ‘‘দিন তিনেক বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হয়ে যাবে এদুয়ার্দো।’’
পড়শি ক্লাবে কোচ-টিডি নিয়ে নাটক চললেও মোহনবাগানে কোনও সমস্যা নেই। সবুজ-মেরুনের যাবতীয় নাটক আবার চলছে মাঠের বাইরে। শীর্ষ কর্তাদের নিজেদের মধ্যে। আজ বিকেলে কর্মসমিতির সভা তা নিয়ে উত্তপ্ত হতে পারে। চার মাস মাইনে পাননি দিপান্দা ডিকা, শিল্টন পাল-রা। টিমের বকেয়া চার কোটি টাকা আসবে কোথা থেকে, তা নিয়েই ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy