—ফাইল চিত্র।
খালিদ জামিলকে সামনে দেখলে আইজল এফ সি এমনিতেই বাড়তি তাগিদ দেখায়। কিন্তু সেই ‘তাগিদ’ নিয়ে ভাবতেই রাজি নন সুভাষ ভৌমিক। বরং ইস্টবেঙ্গলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সমীহ করছেন পাহাড়ি ক্লাবের দৌড় আর প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবলকে।
সুপার কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে নামার আগের সন্ধ্যায় সুভাষ ভুবনেশ্বর থেকে ফোনে বলে দিলেন, ‘‘আইজলের আসল শক্তি ওদের দৌড়। সন্তোষ কাশ্যপ কোচ হয়ে আসার পর ওরা অনেক বদলেছে। প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলছে।’’ ইস্টবেঙ্গল শিবিরে সামান্য চোট আঘাত রয়েছে এদুয়ার্দো ফেরিরা, আল আমনা এবং কেভিন লোবোর। তবে এদু ছাড়া সবাই শনিবার সকালে অনুশীলনে নেমেছিলেন। তীব্র রোদের মধ্যে সকাল দশটায় কর্নার, ফ্রি-কিক এবং পেনাল্টি কিক অনুশীলন করেছেন ইউসা কাতসুমি, সামাদ আলি মল্লিকরা। আগের ম্যাচের জয়ী দলে কোনও পরিবর্তন করবেন কী না তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি সুভাষ বা খালিদ। সুভাষ বললেন, ‘‘পর পর ম্যাচ। খালিদের সঙ্গে ম্যাচের দিন সকালে কথা সিদ্ধান্ত নেব।’’
আই লিগের দুটি ম্যাচেই তাঁর পুরনো দলকে হারাতে পারেননি খালিদ ব্রিগেড। সেটা মানসিকভাবে চাপে রাখছে আল আমনাদের। সুভাষ চেষ্টা করছেন সেই চাপ থেকে টিমকে বের করতে। লাল-হলুদ সেই চাপ থেকে বেরোতে পারে কী না আজ রবিবার বিকেলে বোঝা যাবে।
তবে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন আইজল কোচ সন্তোষ কাশ্যপ। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে তাঁর ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য, ‘‘আমরা সব সময় পিছিয়েই মাঠে নামি। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধেও খেলতে নামার আগে আমাদের কেউ এগিয়ে রাখেনি। আমরা জিতেছি। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও ম্যাচের আগে আমরা পিছিয়ে থেকেই নামব। সেটা আমাদের চাপ কমাবে। ইস্টবেঙ্গলকে চাপে রাখবে।’’ তাঁর পাশে বসে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়িনকে হারানোর নায়ক আন্দ্রেই আনেইসু-র মন্তব্য, ‘‘ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছি। ওদের দলে অনেক নামী ফুটবলার আছে। কিন্তু খেলা তো নাম দিয়ে হয় না।’’ ডোডোজ, মাপুইয়া, কিমার-র মতো ফুটবলার আছে আইজলে। সেটা জানেন বলেই ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ বলে দিয়েছেন, ‘‘আমরা দু’জনেই দু’জনের ক্ষমতা, দুর্বলতা সব জানি। এই ম্যাচে কেউ-ই এগিয়ে বা পিছিয়ে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy