Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বল-বিকৃতি কাণ্ডের পরে চার দিন কেঁদেছিলেন স্টিভ স্মিথ

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে বল বিকৃতি করতে দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৮ ০৪:৩৩
Share: Save:

বল বিকৃতি কান্ড ফাঁস হওয়ার পরে চার দিন কেঁদেছিলেন স্টিভ স্মিথ। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাসিত অধিনায়ক নিজেই তা স্বীকার করেছেন একদল ছাত্র-ছাত্রীর কাছে। যা মঙ্গলবার ফাঁস হয়ে যায় সে দেশের সংবাদমাধ্যমেও। কেপ টাউনে সেই ঘটনার পরে দেশে ফিরে সিডনি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গিয়েছিল স্মিথকে। কিন্তু তিনি যে ওই একবারই চোখের জল সামলাতে পারেননি, তা নয়। এবং তা জানা গেল এত দিনে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে বল বিকৃতি করতে দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টকে। ফিল্ডিং করার সময় তাঁর বল বিকৃত করার ছবি ধরা পড়ে টিভি ক্যামেরায়। যা নিয়ে সারা ক্রিকেট দুনিয়া জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। তবে ব্যানক্রফ্ট যে নিজের ইচ্ছেয় এই কান্ড ঘটাননি, এর নেপথ্যে তাঁর ও ডেভিড ওয়ার্নারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তা সে দিনই সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করে নেন স্মিথ। এই স্বীকারোক্তির পরেই ঝড় ওঠে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে। ব্যানক্রফ্টকে ন’মাস ও স্মিথ, ওয়ার্নারকে এক বছর করে নির্বাসিত করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

স্মিথদের শাস্তির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সামাজিক কাজকর্মও। যে কারণে সিডনির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন স্মিথ। সেখানেই ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি জানান, কেমন মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে তখন গিয়েছিলেন। বলেন, ‘‘সত্যি বলতে, চার দিন আমি শুধু কেঁদেছিলাম।’’ স্মিথের এই বক্তৃতার রেকর্ডিং পৌঁছে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘কয়েক দিন মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাকে। এত কঠিন কাজ আর কখনও করেছি বলে মনে পড়ছে না।’’ স্মিথ মনে করেন, তাঁর আত্মীয়-বন্ধুদের অনেকে ওই সময় তাঁর পাশে না দাঁড়ালে তিনি এই যুদ্ধ করতে পারতেন না। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর বার্তা, ‘‘মানুষের আবেগ প্রকাশ করার মধ্যে কোনও ভুল নেই।’’

পুরোপুরি ক্রিকেট থেকে অবশ্য সরে যাননি স্মিথ। দেশে ও বিদেশে ক্লাব ক্রিকেটে খেলতে পারেন তিনি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE