আদৌ কি ফিরবেন মর্গ্যান?
ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের জেরে তাঁকে নিয়ে এক দিকে বাড়ছে ক্ষোভ। পাশাপাশি লাল-হলুদ শিবিরে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা!
তিনি—ট্রেভর জেমস মর্গ্যান।
চেন্নাই থেকে সোমবার দুপুরে কলকাতায় ফিরে প্রচারমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন মর্গ্যান। রাতেই উড়ে যান অস্ট্রেলিয়া। কলকাতায় তাঁর ফেরার কথা মার্চের শেষ সপ্তাহে।
আর এখানেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা—আদৌ কি তিনি ফিরবেন? মর্গ্যান নিজেও তাঁর ফেরার ব্যাপারে রহস্য তৈরি করে গিয়েছেন। লাল-হলুদ কর্তারা অবশ্য দাবি করছেন মর্গ্যানই কোচ থাকছেন বাকি মরসুমে। তবে কোচ এবং ফুটবলারদের পেশাদারিত্ব নিয়ে কিছুটা অসন্তোষের সুর তাঁদের গলায়।
আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ ৯ এপ্রিল। শিলিগুড়িতে সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ মোহনবাগান। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে ২৭ মার্চ টিম নিয়ে ফের অনুশীলনে নামার কথা ইস্টবেঙ্গল কোচের। তার আগে সপ্তাহ দু’য়েকের ছুটি ইস্টবেঙ্গলে।
প্রত্যাবর্তন: আই লিগে হেরে কলকাতা ফিরলেন প্লাজা। লিগে ফের দলকে টেনে তোলার চ্যালেঞ্জ । নিজস্ব চিত্র
মোহনবাগান যেখানে বুধবার শহরে ফিরে পাঁচ দিন ছুটি কাটিয়ে অনুশীলনে নামবে, সেখানে লাল-হলুদ শিবিরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের পরেও তেরো দিনের এই ছুটি-পর্ব নিয়ে কিছুটা হলেও অসন্তোষ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের গলায়। ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এ দিন যে প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে বলেছেন, ‘‘ছুটির ব্যাপারটা আগে থেকেই ঠিক ছিল। কাজেই তা বাতিল করা কঠিন। কিন্তু কোচ এবং ফুটবলাররা কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে যদি ছুটি বাতিল করতেন তা হলে আমরা খুশিই হতাম।’’
সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ চেন্নাই থেকে কলকাতা ফেরে ইস্টবেঙ্গল। বিমানবন্দর থেকে ফুটবলারদের সঙ্গে বেরোননি লাল-হলুদ কোচ মর্গ্যান। সকলের অলক্ষ্যে অন্য গেট দিয়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। কেন লিগের শেষ পর্যায়ে গিয়ে পর পর হার তা জানতে চাইলে ‘নো কমেন্টস’ বলে মেহতাব হোসেন-কে নিয়ে গাড়িতে উঠে যান তিনি।
ইস্টবেঙ্গল কোচ মিডিয়ার কাছে মুখ না খুললেও টিম সূত্রে খবর, চেন্নাইয়ের কাছে হারের পর কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন মর্গ্যান। তাঁর লক্ষ্য ছিল, ছুটিতে যাওয়ার আগে ইস্টবেঙ্গলকে লিগ টেবলের শীর্ষে রাখা। সেটা না হওয়ায় তিনি যে হতাশ, তা গোপন করেননি ফুটবলারদের সামনে।
যদিও মর্গ্যানের টিমের ক্যারিবিয়ান ফরোয়ার্ড উইলিস প্লাজা এখনও মনে করছেন, আই লিগ জেতার দৌড়ে ভাল মতোই আছে ইস্টবেঙ্গল। সোমবার দমদম বিমানবন্দরে তিনি বলে যান, ‘‘এখনও চ্যাম্পিয়ন হতে পারি আমরা। বাকি চার ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট পেতেই হবে আমাদের। তা হলে আইজলও চাপে পড়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy