Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

শ্রেয়স ফর্মে, হার মুম্বইয়ের

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে চার উইকেটে হারলেও শ্রেয়স করেন ৪৪ বলে ৭৯ রান। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী তিনি।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৫:০৩
Share: Save:

দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে ওয়ান ডে সিরিজে লড়াইয়ের আশ্বাস দিয়ে গেলেন শ্রেয়স আইয়ার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাস মাঠে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেও দলকে জেতাতে পারলেন না শ্রেয়স। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকায় নামার আগে ফর্ম নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিরাট কোহালি বিশ্রামে থাকায় সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তিনটি ওয়ান ডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ২১৬ রান করেছেন। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে সোমবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে চার উইকেটে হারলেও শ্রেয়স করেন ৪৪ বলে ৭৯ রান। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী তিনি। বলেন, ‘‘ওয়ান ডে-তে আমরা ভাল দল। আশা করছি এই সিরিজে আমরা ঘুরে দাঁড়াব। ভারতীয় দলে আমাকে যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে হতে পারে। তাই আমি সে দিকেই মনোনিবেশ করছি।’’ ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারই টিকে ছিলেন শ্রেয়স।

২৪ জানুয়ারি এ বি ডিভিলিয়ার্সের দেশে রওনা হচ্ছেন তিনি। সোমবার রাতেই মুম্বই উড়ে গেলেন ভারতীয় দলের তরুণ ব্যাটসম্যান। ম্যাচ শেষে কলকাতা বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে শ্রেয়স বলেন, ‘‘শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরে চোট পাওয়ার কারণে আগামী সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। মুস্তাক আলি ট্রফির এই ইনিংস আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।’’

টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পঞ্জাব অধিনায়ক হরভজন সিংহ। মুম্বই প্রথমে ব্যাট করে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দেয় পঞ্জাবের সামনে। জবাবে ১৯.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন যুবরাজ সিংহরা। এই দিন ৩৪ বল খেলে ৪০ রান করেন যুবরাজ। যদিও তাঁর দু’টি সহজ ক্যাচ ফেলেছেন অখিল হেরওয়াদকর এবং শ্রেয়স নিজেই। যুবি ছাড়া পঞ্জাবকে ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করেছেন মনন ভোরা (৪২) ও গুরকিরত সিংহ মান (৪৩)। যুবরাজের সঙ্গে পঞ্চাশ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপে গুরকিরত নিজেই করেছেন ৪৩ রান। তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও জায়গায় বল ফেলে আটকে রাখতে পারছিলেন না ধবল কুলকার্নি-রা। স্কুপ, সুইপ, রিভার্স সুইপ মেরে বোলারদের বিপর্যস্ত করে তুলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। আসন্ন আইপিএলের আগে এ ধরনের কিছু শটই অনুশীলন করে চলেছেন গুরকিরত। ম্যাচ শেষে গুরকিরত বলেন, ‘‘কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় বল করে আমাকে বোলাররা যেন আটকাতে না পারে। তার জন্যেই রিভার্স সুইপ, স্কুপ মারছি। সামনেই আইপিএল। তাই নিজেকে সব দিক থেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।’’

গ্রুপ ‘এ’-তে পরপর দু’টি শক্তিশালী দলকে হারিয়ে সুবিধেজনক জায়গায় রয়েছে পঞ্জাব। মঙ্গলবার বিকেলে ঝাড়খণ্ডকে হারাতে পারলেই ফাইনালের রাস্তা আরও পোক্ত হয়ে উঠবে যুবরাজদের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE