সেরিনা।
করোনাভাইরাস অতিমারির জন্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতার সাত মাসের দীর্ঘ অপেক্ষা কাটিয়ে সোমবার শুরু হল যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। তবে বহু বিধিনিষেধের মধ্যে এবং দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। পুরুষ ও মেয়েদের গত বারের চ্যাম্পিয়নদের কেউই খেলছেন না। নেই মিক্সড ডাবলসও। মেয়েদের সিঙ্গলসে বিশ্ব ক্রম তালিকার প্রথম দশ জনের মধ্যে আছেন মাত্র চার জন। এই সুযোগে ইতিহাসের অপেক্ষায় সেরিনা উইলিয়ামস। মার্কিন তারকা ২৪তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। মঙ্গলবার তৃতীয় বাছাই সেরিনা অভিযান শুরু করছেন যুক্তরাষ্ট্রেরই বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ৯৬ নম্বর ক্রিস্টি অ্যান-এর বিরুদ্ধে।
গত তিন বছরে মার্গারেট কোর্টের সর্বাধিক গ্র্যান্ড স্ল্যাম সিঙ্গলস খেতাব জয়ের নজির (২৪) ছোঁয়ার খুব কাছাকাছি এলেও সেরিনা তা পূরণ করতে পারেননি। ২০১৭ সালে সেরিনা যখন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতছেন, কেউ জানতই না তিনি অন্তঃসত্ত্বা। পরে তা ফাঁস হয়। মা হওয়ার পরে সেরিনা চার বার গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠলেও ব্যর্থ হয়েছেন। করোনার জন্য পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পরে ফের বিশ্ব টেনিসের প্রত্যাবর্তন ঘটে অগস্টের শুরুর দিকে। তখন থেকেই সেরিনার অধরা স্বপ্ন পূরণের আশা ফের দেখতে শুরু করেন তাঁর ভক্তরা।
যদিও তার পরে দুটি প্রতিযোগিতায় সেরিনা শুরুর দিকে হেরেছেন। ৩৮ বছর বয়সি তারকার অভিজ্ঞতা তাঁকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছেন তাঁর কোচ। ‘‘সেরিনার মধ্যে সেই লড়াইটাই দেখা যাবে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছে দীর্ঘ দিন পরে কোর্টে ফিরলেও দ্রুত পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা সহজ। কারণ তারা নিজেকে খুব ভাল করে চেনে,’’ মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন সেরিনার কোচ প্যাট্রিক মোরাতোগ্লো। যিনি সেরিনাকে কোচিং করাচ্ছেন ২০১২ থেকে। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা এর আগে দেখেছি রজার ফেডেরারকে ছ’মাস বিরতির পরেও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে। তাই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ছন্দে ফিরতে খুব বেশি ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হয় না।’’
কোচের আত্মবিশ্বাস থাকলেও একটা ব্যাপার অবশ্য কারও নজর এড়ায়নি। গত সপ্তাহে লেক্সিংটনে এবং চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে ওয়েস্টার্ন অ্যান্ড সাদার্ন ওপেনে সেরিনা যে ভাবে হেরেছেন। লেক্সিংটনে সেরিনা হারেন বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ১১৬ নম্বর শেলবি রজার্সের বিরুদ্ধে এবং মঙ্গলবার বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ২১ নম্বর মারিয়া সাক্কারির কাছে। নিউ ইয়র্কে প্রায় ম্যাচ জেতার কাছাকাছি চলে গিয়েও হারের পরে সেরিনা বলেছিলেন, ‘‘কী করে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো হাতছাড়া না হয়, সেই সমাধানসূত্রটা খুঁজতে হবে। আমার অনেক জেতার সুযোগ ছিল। এই ধরনের ম্যাচ জিততেই হবে এর পরে।’’
মঙ্গলবার ভারতীয় সমর্থকদের নজরও থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে। কারণ, ভারতের সুমিত নাগাল প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাডলি ক্লানের। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ক্লান আছেন ১২৯ নম্বরে। নাগাল তাঁর প্রতিপক্ষের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে। খেলোয়াড় জীবনে এই নিয়ে দ্বিতীয় গ্ল্যান্ড স্ল্যামে নামলেন তিনি। গত বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের প্রথম রাউন্ডে ছিটকে গেলেও নাগাল কিংবদন্তি ফেডেরারের বিরুদ্ধে এক সেট ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর প্রশংসা করেছিলেন স্বয়ং ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সুইস মহাতারকা। এ বার তিনি প্রথম রাউন্ডের বাধা পেরোতে পারেন কি না দেখার।
সোমবার প্রথম রাউন্ডে মেয়েদের সিঙ্গলসে শীর্ষবাছাই ক্যারোলিনা প্লিসকোভা স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়েছেন অ্যানহেলিনা কানিলিনাকে। ফল ৬-৪, ৬-০। চেক প্রজাতন্ত্রের ক্যারোলিনা প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের লক্ষ্যে নেমেছেন। পাশাপাশি জয় পেলেন প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন অ্যাঞ্জেলিক কের্বের। তিনি হারালেন অস্ট্রেলিয়ার আজলা টমজানোভিচকে। ফল ৬-৪, ৬-৪।
মঙ্গলবার প্রথম রাউন্ডের লড়াইয়ে নামছেন অ্যান্ডি মারেও। প্রতিপক্ষ জাপানের ইয়োশিহিতো নিশিয়োকা। ২০১৯ এর জানুয়ারি মাসের পরে এই প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামে দেখা যাবে তাঁকে। ২০১২ সালের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন বলেছেন, ‘‘এ রকম দর্শকহীন স্টেডিয়ামে খেলাটা খেলোয়াড়দের জন্য মানসিক দিক থেকে কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy