অদম্য: প্রথম সেট হেরেও দুর্দান্ত জয় সেরিনার। শনিবার রাতে। ছবি: টুইটার
প্রথম সেটে হেরে গিয়েও স্লোয়ান স্টিফেন্সকে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে উঠলেন সেরিনা উইলিয়ামস। ফল তাঁর পক্ষে ২-৬, ৬-২, ৬-২। শনিবার ভারতীয় সময় অধিক রাতে আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে জেতার ফলে সেরিনা যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে সব চেয়ে খারাপ ফল করা ঠেকালেন। এর আগে ১৯৯৮ সালে তিনি এখানে তৃতীয় রাউন্ডে বিদায় নিয়েছিলেন।
তখন সেরিনার বয়স ছিল মাত্র ১৬ এবং একটিও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেননি। এখন তিনি ৩৯ এবং মার্গারেট কোর্টের ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামের নজির স্পর্শ করার জন্য লড়ছেন। কোর্টের চেয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ে মাত্র এক পিছিয়ে সেরিনা। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনই তিনি জিতেছেন ছ’বার। ‘‘দুর্দান্ত লড়াই হয়েছে। আমরা সব সময়ই দারুণ ম্যাচ উপহার দিয়েছিল,’’ স্লোয়ানের সঙ্গে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা তুলে বলেছেন সেরিনা। যোগ করেন, ‘‘প্রথম সেটে দুর্ধর্ষ খেলেছে স্লোয়ান। আমি শুধু ভাবছিলাম, একটা গেমও যদি জিততে পারি। ওকে থামানোই যাচ্ছিল না।’’ শুরুর ঝড় অবশ্য ধরে রাখতে পারেননি স্লোয়ান। পরের দু’টি সেটে তীব্র ভাবে ফিরে আসেন সেরিনা। শেষ ষোলোতে তাঁর প্রতিপক্ষ গ্রিসের মারিয়া সাকারি। ২৫ বছরের সাকারি কিন্তু গত সপ্তাহেই তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন সেরিনাকে।
স্লোয়ানের মতোই ইউক্রেনের মার্তা কোস্তিয়াক হারিয়ে দিচ্ছিলেন নেয়োমি ওসাকাকে। মাত্র ১৮ বছর বয়সি মার্তা একটি সেট জিতে চমকে দেন! অনামী প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে জাপানের তারকার সময় লাগল ২ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট! প্রথম সেট হারের পর ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে ১-১ করে দিয়েছিলেন মার্তা। ওসাকা অবশ্য নির্ণায়ক সেটে ছন্দে ফিরে ম্যাচ বের করে নেন। শেষ পর্যন্ত ওসাকা জিতলেন ৬-৩, ৬-৭(৪), ৬-২ সেটে।
কৃষ্ণাঙ্গ-গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবারও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের প্রাক্তন চ্যাম্পিয়ন ওসাকা বিশেষ মুখাবরণ পরে এসেছিলেন। এ দিন সেখানে লেখা ছিল আহমেদ আরবারির নাম। ওসাকা জানিয়েছিলেন, ফ্লাশিং মেডোজে ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে চান। যাতে সাত রাউন্ডের প্রত্যেকটি ম্যাচেে আমেরিকায় নিহত সাত কৃষ্ণাঙ্গের নাম লেখা ‘মাস্ক’ পরে নামতে পারেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি যাঁদের নাম লেখা মাস্ক পরে নামছি, তাঁরা কারা মানুষ নিশ্চয়ই এ বার জেনে নেবেন গুগলের মাধ্যমে। মনে রাখবেন, আমি এখানে খেলছি ওঁদেরই প্রতিনিধি হয়ে।’’ আর মার্তার বিরুদ্ধে ম্যাচ নিয়ে ওসাকার মন্তব্য, ‘‘মেয়েটা (মার্তা) অবাক করে দিয়েছে। দ্বিতীয় সেটে টাইব্রেকারের সময় তো সব কিছুই ওর পক্ষে যাচ্ছিল। বারবার নেটে চলে আসছিল। আমি যত জোরে সম্ভব রিটার্নগুলো মারছিলাম। তাতেও ফিরিয়ে দিচ্ছিল।’’ যোগ করেন, ‘‘সত্যিই মেয়েটা একটা সময় পর্যন্ত অবিশ্বাস্য টেনিস খেলেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy