সফল: বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় রাউন্ডে সাইনা। রয়টার্স
চলতি মরসুমে ভারতীয় মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকাদের মধ্যে খেতাব জিতেছেন শুধু তিনিই। ইন্দোনেশিয়ার ওপেন। শুধু কোর্টের মধ্যেই নয়, কোর্টের বাইরেও লড়াই চলছিল তাঁর। চোট সারিয়ে ওঠার লড়াই। চোটের জন্য কয়েকটা প্রতিযোগিতায় নামতে পারেননি চলতি মরসুমে। কখনও ভুগিয়েছে পেটের সমস্যা কখনও কব্জি। যে যুদ্ধে জেতার জন্য শেষ পর্যন্ত ইঞ্জেকশন নিয়েও নামতেও পিছপা হননি। তিনি— সাইনা নেহওয়াল।
বাসেলে চলতি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচ জেতার পরে সাইনা বলেছেন, ‘‘এপ্রিল-মে মাসে পেটের সমস্যায় ভুগছিলাম। সেটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই কব্জিতে চোট লাগল। চোটের জায়গাটা ফুলে উঠেছিল। এই ধরনের চোট সারতে সময় লাগে। কারণ, চোটটা একটু জটিল। কখনও মনে হবে সব ঠিকই রয়েছে, কিন্তু আসলে তা নয়।’’ সাইনা আরও যোগ করেন, ‘‘অপেক্ষা করতে হয় ফুলে ওঠাটা কখন কমে যায়। তাই চিকিৎসকও আমায় প্রথমে ইঞ্জেকশন দিতে চাননি। তিনি চেয়েছিলেন প্রথমে চোটটা সারুক। কিন্তু আমি বললাম, স্যর দয়া করে ইঞ্জেকশনটা দিয়ে দিন। এর মধ্যে তিন সপ্তাহ চলে গিয়েছে এই চোটে। তার পরে উনি ইঞ্জেকশনটা দেন। না হলে এই ইঞ্জেকশনটা প্রথমে দেওয়া উচিত নয়। শরীরের জন্য সেটা ক্ষতিকারক। বিশেষ করে টেন্ডন্সের (পেশিবন্ধ) জন্য।’’
কোর্টে ফেরার জন্য সাইনা যে কতটা ছটফট করছিলেন তাঁর কথাতেই সেটা পরিষ্কার, ‘‘এটা জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের কথা। কিন্তু তিনি বললেন তিন সপ্তাহ যখন হয়ে গিয়েছে ইঞ্জেকশন নিয়ে নাও। কব্জির ফোলাটা কমছিলই না। কারণ, কব্জির জয়েন্টগুলো খুব ছোট। তাই ফোলাটা কমতে সময় লাগে। শেষ পর্যন্ত তিনি কোর্টিসন ইঞ্জেকশনটা দেওয়ার পরে প্রস্তুতি শুরু করি। তাইল্যান্ডে তাই লড়াইটা ঠিকঠাকই ছিল। এক সপ্তাহ প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পেয়েছি। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের আগে তিন সপ্তাহ সময় পেয়েছি। তাই প্রস্তুতিটা ভাল হয়েছে।’’
এ দিকে বৃহস্পতিবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত জয় পেলেন ভারতের বি সাই প্রণীত। বিশ্বের আট নম্বর ইন্দোনেশিয়ার অ্যান্থনি সিনিসুকা জিন্টিংকে স্ট্রেট গেমে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন তিনি। ফল ২১-১৯, ২১-১৩। বিশ্ব ক্রম পর্যায়ে ১৯ নম্বরে থাকা প্রণীত শেষ আটে মুখোমুখি হতে পারেন আর এক ইন্দোনেশিয়ার খেলোয়াড় জোনাথন ক্রিস্টির। তিনি চতুর্থ বাছাই এবং এশিয়ান গেমস চ্যাম্পিয়ন।
ম্যাচের পরে প্রণীত বলেন, ‘‘আমি তৈরি ছিলাম চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য। ম্যাচটায় খুব ভাল লড়াই হচ্ছিল। খুব দ্রুত গতিতে খেলছিল ও। জানতাম সেটাই করবে। তার জন্য আমি প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলাম। একটা সময় ও ভুল করতে শুরু করে। চাপে পড়ে যায়। আমি সেই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘এখানে ড্র কঠিন সেটা বলব না। জানতাম নিজের একশো শতাংশ কোর্টে দিলে সুযোগ থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy