পি ভি সিন্ধু এবং সাইনা নেহওয়াল। ফাইল চিত্র।
রবিবার পি ভি সিন্ধুর হাত ধরে টোকিয়ো অলিম্পিক্সে দ্বিতীয় পদক পেল দেশ। শুধু তাই নয়, সুশীল কুমারের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এবং প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে অলিম্পিক্সে ব্যক্তিগত ইভেন্টে জোড়া পদক এখন সিন্ধুর মুকুটে। অলিম্পিক্সে সিন্ধুর ব্রোঞ্জ জয়ের পর দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ক্রীড়া জগতের মানুষজন তাঁকে অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কোনও শুভেচ্ছা বার্তা এল না সাইনা নেহওয়ালের তরফ থেকে।
ভারতে মেয়েদের ব্যাডমিন্টনের ইতিহাসে প্রথম দু'টি নাম সাইনা এবং সিন্ধু। তাঁদের মধ্যে আরও একটা বড় সম্পর্ক, তাঁরা একই গুরুর শিষ্য ছিলেন। পুল্লেলা গোপীচন্দ। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়নে ২০১৪ এশিয়ান গেমসের আগেই গোপীচন্দকে ছেড়ে অন্য কোচ নেন সাইনা।
সিন্ধু না সাইনা? ভারতে মহিলাদের ব্যাডমিন্টনে সেরার লড়াইয়ে কে এগিয়ে, তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিতর্ক। আবার দু'জনের 'ইগো ফাইট'ও বার বার সামনে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। এক কথায়, দুই সেরার সম্পর্ক কখনই মধুর নয়।
কোর্টে যত বার মুখোমুখি হয়েছেন দু'জনে, তাতে সাইনা এগিয়ে। আবার পদক জেতার লড়াইয়ে এগিয়ে সিন্ধু।
২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক্সে সাইনার হাত ধরেই ব্যাডমিন্টনে প্রথম পদক আসে ভারতে। সাইনা সে বার ব্রোঞ্জ জেতেন। গত বার অর্থাৎ ২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে সিন্ধু জেতেন রুপো। খালি হাতে ফেরেন সাইনা। এ বার অলিম্পিক্সে সাইনা যেতেই পারেননি। আর সিন্ধু ব্রোঞ্জ জিতে ফিরছেন। এই সাফল্যে সাইনা তাঁকে অভিনন্দন জানান কি না, নজর ছিল ভারতীয় ক্রীড়ামোদীদের। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্ত তা আসেনি।
গুরু গোপীচন্দ সিন্ধুর সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত। ‘অসাধারণ’, বললেন দ্রোণাচার্য কোচ এবং প্রাক্তন অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন। সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘পর পর দুটি অলিম্পিক্সে পদক জয়ের জন্য সিন্ধুকে অভিনন্দন। সিন্ধু ও তার সহযোগী কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের কারণেই এই সাফল্য এল। ভারত সরকার এবং ক্রীড়া মন্ত্রককে আমি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy