রাজনীতির বৃত্তেই তিনি শুধু আটকে ছিলেন না। তার বাইরেও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির একটা পরিচয় ছিল। তিনি ছিলেন দক্ষ এক জন ফুটবল প্রশাসক। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। কার্যক্ষমতাও ছিল না। সোমবার তাঁর মৃত্যুর পর শোকের ছায়া নেমে আসে ফুটবল জগতে।
দীর্ঘ দিন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন(এআইএফএফ)-এর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন প্রিয়রঞ্জন। তাঁর আমলেই শুরু হয় ন্যাশনাল ফুটবল লিগ (এনএফএল)। এখন যা আই লিগ নামে পরিচিত। বর্তমান থেকে প্রাক্তন, প্রশাসক থেকে কর্তা— ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সকলেই প্রিয়রঞ্জনের এই চলে যাওয়ায় শোকস্তব্ধ।
আরও পড়ুন: আই লিগের আগে ইস্ট-মোহনকে বড় উপহার সরকারের
আরও পড়ুন: ইব্রার ফেরার দিনে লাল-ঝড় ওল্ড ট্র্যাফোর্ড
বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় (প্রাক্তন ফুটবলার)
ভারতীয় ফুটবলের জন্য প্রিয়রঞ্জনের অবদান ভোলার নয়। দেশীয় ফুটবলের উন্নতিতে নিজের চেষ্টায় অনেক কিছু করেছিলেন তিনি। অত্যন্ত গুণি মানুষ ছিলেন।
সুভাষ ভৌমিক (প্রাক্তন ফুটবলার)
খারাপ লাগছে। ওঁর চেষ্টাতেই ন্যাশনাল লিগ শুরু হয়েছিল। যত দিন উনি ছিলেন, তত দিন ভারতীয় ফুটবল সঠিক দিশায় এগোচ্ছিল। প্রিয়রঞ্জনের আত্মার শান্তি কামনা করি।
অঞ্জন মিত্র (সচিব, মোহনবাগান)
গত ৯ বছর ধরে অসু্স্থ ছিলেন প্রিয়দা। আর এই ৯ বছর ধরে ওঁর অনুপস্থিতিতে ভারতীয় ফুটবলও কোমায় চলে গিয়েছে। এখন যাঁরা আছেন, তাঁরা ভারতীয় ফুটবলের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে দিয়েছেন। মোহনবাগানকে জাতীয় ক্লাবের তকমা পেতে প্রিয়দাই তো সাহায্য করে ছিলেন।
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য (প্রাক্তন ফুটবলার)
প্রিয়দা সব সময়েই ফুটবলারদের উন্নতির জন্য ভাবতেন। তাঁদের সুবিধা-স্বাচ্ছন্দের দিকেও নজর দিতেন। খেলোয়াড়দের সব সময়েই উজ্জীবিত করতেন। তরুণ খেলোয়াড়দের অনেক সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি।
কল্যাণ মজুমদার (সচিব, ইস্টবেঙ্গল)
ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে প্রিয়দার নাম লেখা থাকবে। দেশের ফুটবলের উন্নতিতে অনেক কিছু করেছেন। বহু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কষ্টের হাত থেকে মুক্তি পেলেন। ওঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই।
মানস ভট্টাচার্য (প্রাক্তন ফুটবলার)
ভারতীয় ফুটবলে পরিবর্তন এসেছে প্রিয়দার হাত ধরেই। উনি ভারতীয় ফুটবলের জন্য যা করেছেন, তার সিকি ভাগও করেননি প্রফুল্ল পটেলরা। ফুটবলারদের খুবই ভালবাসতেন প্রিয়দা।
গৌতম সরকার (প্রাক্তন ফুটবলার)
প্রিয়দা আমার দাদা ছিলেন। আমরা একই গুরুর শিষ্য। উনি ৬-৭টা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারতেন। প্রিয়দার মৃত্যুতে গোটা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত হল। আই লিগের পথ প্রদর্শক ছিলেন তিনি। খুবই বেদনাদায়ক। অভিভাবকহারা হল ভারতীয় ফুটবল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy