Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Sport News

খাদের ধার থেকে ফিরে দুরন্ত জয়, কী ভাবে ম্যাচের মোড় ঘোরালো বাংলা?

১৩ বছর পর ফের রঞ্জি ট্রফির দাবিদার বাংলা! ইডেনের চেনা পিচে মঙ্গলবার ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে কর্নাটককে ধরাশায়ী করল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম দিন থেকেই প্রায় প্রতিটি মোড়েই চমক দিয়েছে এ ম্যাচ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২০ ১৩:৪৫
Share: Save:
০১ ১৬
১৩ বছর পর ফের রঞ্জি ট্রফির দাবিদার বাংলা! ইডেনের চেনা পিচে মঙ্গলবার ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে কর্নাটককে ধরাশায়ী করল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম দিন থেকেই প্রায় প্রতিটি মোড়েই চমক দিয়েছে এ ম্যাচ।

১৩ বছর পর ফের রঞ্জি ট্রফির দাবিদার বাংলা! ইডেনের চেনা পিচে মঙ্গলবার ১৭৪ রানের বিশাল ব্যবধানে কর্নাটককে ধরাশায়ী করল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। ঘরের মাঠে সেমিফাইনালের প্রথম দিন থেকেই প্রায় প্রতিটি মোড়েই চমক দিয়েছে এ ম্যাচ।

০২ ১৬
ইডেনে হোম অ্যাডভান্টেজ থাকলেও টসভাগ্য যেন ভাল ছিল না বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের। টস জিতে নেন কর্নাটকের অধিনায়ক করুণ নায়ার। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্নাটক। পরীক্ষা শুরু হয় বাংলার ব্যাটসম্যানদের।

ইডেনে হোম অ্যাডভান্টেজ থাকলেও টসভাগ্য যেন ভাল ছিল না বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরনের। টস জিতে নেন কর্নাটকের অধিনায়ক করুণ নায়ার। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কর্নাটক। পরীক্ষা শুরু হয় বাংলার ব্যাটসম্যানদের।

০৩ ১৬
সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসের শুরুতে সুবিধা তৈরি তো দূরের কথা, উল্টে শুরুতেই চাপে পড়ে যান ঈশ্বরন-সুদীপ-মনোজরা। পর পর উইকেট হারিয়ে এক সময় রীতিমতো ধুঁকতে থাকে বাংলা। স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছে, রান মাত্র ৬৭। এই অবস্থা থেকে বাংলা যে ঘুরে দাঁড়াবে তা অতি বড় ক্রিকেটভক্তও ভাবেননি।

সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংসের শুরুতে সুবিধা তৈরি তো দূরের কথা, উল্টে শুরুতেই চাপে পড়ে যান ঈশ্বরন-সুদীপ-মনোজরা। পর পর উইকেট হারিয়ে এক সময় রীতিমতো ধুঁকতে থাকে বাংলা। স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছে, রান মাত্র ৬৭। এই অবস্থা থেকে বাংলা যে ঘুরে দাঁড়াবে তা অতি বড় ক্রিকেটভক্তও ভাবেননি।

০৪ ১৬
কর্নাটকের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো কুঁকড়ে গেলেও বাংলার হয়ে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা দেন অনুষ্টুপ মজুমদার। নিজে অপরাজিত থাকেন ১৪৯ রানে। ২০৭ বলের অনুষ্টুপের সেই ইনিংস সাজানো ছিল তিনটে ছয় ও ২১টি চার দিয়ে।

কর্নাটকের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো কুঁকড়ে গেলেও বাংলার হয়ে ত্রাতার ভূমিকায় দেখা দেন অনুষ্টুপ মজুমদার। নিজে অপরাজিত থাকেন ১৪৯ রানে। ২০৭ বলের অনুষ্টুপের সেই ইনিংস সাজানো ছিল তিনটে ছয় ও ২১টি চার দিয়ে।

০৫ ১৬
দেড়শো মিস করলেও অনুষ্টুপ মজুমদারের সঙ্গে জুটিতে শাহবাজ নাদিমের ৩৫ রানও মূল্যবান হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ন’নম্বরে নেমে আকাশদীপের ৪৪ রানের জন্য বাংলার ঝুলিতে প্রথম ইনিংসে পুঁজি দাঁড়ায় ৩১২ রান। কর্নাটকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন অভিমন্যু মিঠুন ও রনিত মোরে।

দেড়শো মিস করলেও অনুষ্টুপ মজুমদারের সঙ্গে জুটিতে শাহবাজ নাদিমের ৩৫ রানও মূল্যবান হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ন’নম্বরে নেমে আকাশদীপের ৪৪ রানের জন্য বাংলার ঝুলিতে প্রথম ইনিংসে পুঁজি দাঁড়ায় ৩১২ রান। কর্নাটকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন অভিমন্যু মিঠুন ও রনিত মোরে।

০৬ ১৬
কর্নাটকের প্রথম ইনিংসেই ফের চমক বাংলার। প্রথম ওভারেই ওপেনার রবিকুমার সমর্থকে তুলে নেন ঈশান পোড়েল। স্কোর তখন ১-১। সে সময় সবুজ পিচে বলকে রীতিমতো যেন কথা বলাচ্ছেন ঈশান।

কর্নাটকের প্রথম ইনিংসেই ফের চমক বাংলার। প্রথম ওভারেই ওপেনার রবিকুমার সমর্থকে তুলে নেন ঈশান পোড়েল। স্কোর তখন ১-১। সে সময় সবুজ পিচে বলকে রীতিমতো যেন কথা বলাচ্ছেন ঈশান।

০৭ ১৬
কর্নাটকের শিবিরে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে বাংলা শিবিরে হাসি ফোটান ঈশান পোড়েল। একে একে ৫ উইকেট তুলে নেন। খরচ করেন মাত্র ৩৯ রান। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন আকাশদীপ।

কর্নাটকের শিবিরে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে বাংলা শিবিরে হাসি ফোটান ঈশান পোড়েল। একে একে ৫ উইকেট তুলে নেন। খরচ করেন মাত্র ৩৯ রান। ৩ উইকেট তুলে নিয়ে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন আকাশদীপ।

০৮ ১৬
ঈশান-আকাশের জুটির দাপটে কর্নাটকের ব্যাটসম্যানদের ঘন ঘন প্যাভিলিয়নে ফেরা শুরু হয়। সে সময় রীতিমতো খাদে পড়ে যায় কর্নাটক শিবিরে। এক সময় তো স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৭ উইকেটে ৬৫। সেখান থেকে ১২২ রানে গুটিয়ে যায় কর্নাটক।

ঈশান-আকাশের জুটির দাপটে কর্নাটকের ব্যাটসম্যানদের ঘন ঘন প্যাভিলিয়নে ফেরা শুরু হয়। সে সময় রীতিমতো খাদে পড়ে যায় কর্নাটক শিবিরে। এক সময় তো স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৭ উইকেটে ৬৫। সেখান থেকে ১২২ রানে গুটিয়ে যায় কর্নাটক।

০৯ ১৬
কর্নাটককে অল্প রানে বেঁধে ফেলে ১৯০ রানে বিশাল লিড নিয়ে নেয় বাংলা। তবে বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে সে সুখ বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফের এক বার ম্যাচের রং বদলে যায়।

কর্নাটককে অল্প রানে বেঁধে ফেলে ১৯০ রানে বিশাল লিড নিয়ে নেয় বাংলা। তবে বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে সে সুখ বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ফের এক বার ম্যাচের রং বদলে যায়।

১০ ১৬
দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যর্থ বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ (৮ ও ১৩ রান)। তাঁর পথে পা বাড়ান অভিষেক রমন, ঈশ্বরনরাও। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের (৪৫) পাশাপাশি অনুষ্টুপ মজুমদার (৪১) ও শাহবাজ নাদিম (৩১) ছাড়া কারও বলার মতো রান নেই।  রনিত মোরে, অভিমন্যু মিঠুন ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের দাপটে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৬১-তে।

দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যর্থ বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ (৮ ও ১৩ রান)। তাঁর পথে পা বাড়ান অভিষেক রমন, ঈশ্বরনরাও। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের (৪৫) পাশাপাশি অনুষ্টুপ মজুমদার (৪১) ও শাহবাজ নাদিম (৩১) ছাড়া কারও বলার মতো রান নেই। রনিত মোরে, অভিমন্যু মিঠুন ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণের দাপটে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ১৬১-তে।

১১ ১৬
দ্বিতীয় ইনিংসে তাড়াতাড়ি গুটিয়ে গেলেও প্রথম ইনিংসের লিডের সুবাদে কর্নাটকের সামনে ৩৫২ রানের টার্গেট রাখে বাংলা।

দ্বিতীয় ইনিংসে তাড়াতাড়ি গুটিয়ে গেলেও প্রথম ইনিংসের লিডের সুবাদে কর্নাটকের সামনে ৩৫২ রানের টার্গেট রাখে বাংলা।

১২ ১৬
ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকতা না দেখালেও ১৩ বছর পর বাংলার স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব যেন নিজেদের কাঁধে তুলে নেন পেসাররা। কর্নাটকের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ফের চমক ঈশান পোড়েলের। দ্বিতীয় বলেই বোকা বানিয়ে ঘরে পাঠান ফর্মে থাকা কেএল রাহুলকে।

ব্যাটসম্যানরা ধারাবাহিকতা না দেখালেও ১৩ বছর পর বাংলার স্বপ্নপূরণের দায়িত্ব যেন নিজেদের কাঁধে তুলে নেন পেসাররা। কর্নাটকের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ফের চমক ঈশান পোড়েলের। দ্বিতীয় বলেই বোকা বানিয়ে ঘরে পাঠান ফর্মে থাকা কেএল রাহুলকে।

১৩ ১৬
ঈশান পোড়েলের সঙ্গে আকাশদীপ। সোমবার দিনের শেষে ৩ উইকেটে কর্নাটক ৯৮ রান। ফাইনালে পৌঁছনোর গন্ধ পেতে শুরু করে বাংলা শিবির।  বাংলার কোচ অরুণ লালের মুখের হাসি চওড়া করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু খেলা শেষ না হলে তো আর শেষ বলা যায় না!

ঈশান পোড়েলের সঙ্গে আকাশদীপ। সোমবার দিনের শেষে ৩ উইকেটে কর্নাটক ৯৮ রান। ফাইনালে পৌঁছনোর গন্ধ পেতে শুরু করে বাংলা শিবির। বাংলার কোচ অরুণ লালের মুখের হাসি চওড়া করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। কিন্তু খেলা শেষ না হলে তো আর শেষ বলা যায় না!

১৪ ১৬
কর্নাটকের প্রথম ইনিংসে ধস নামিয়ে হিরো হয়েছিলেন ঈশান। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেও ছাপিয়ে গেলেন মুকেশ কুমার। ৬১ রান খরচ করে বাংলার এই পেসার একে একে ৬ উইকেট তুলে নেন। করুণ নায়ার ও মণীশ পাণ্ডের দামি উইকেটও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

কর্নাটকের প্রথম ইনিংসে ধস নামিয়ে হিরো হয়েছিলেন ঈশান। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেও ছাপিয়ে গেলেন মুকেশ কুমার। ৬১ রান খরচ করে বাংলার এই পেসার একে একে ৬ উইকেট তুলে নেন। করুণ নায়ার ও মণীশ পাণ্ডের দামি উইকেটও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।

১৫ ১৬
শুরুটা যদি ঈশান-আকাশ করে থাকেন, তা হলে শেষটা করেন মুকেশ। মূলত বাংলার তিন পেসারের দাপটেই টার্গেটের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি রাহুল-নায়ার-পাণ্ডেরা। শেষমেশ ১৭৭ রানেই থেমে গেলেন তাঁরা। ফাইনালে ওঠার ম্যাচে সেরার শিরোপা যায় অনুষ্টুপের কাছে।

শুরুটা যদি ঈশান-আকাশ করে থাকেন, তা হলে শেষটা করেন মুকেশ। মূলত বাংলার তিন পেসারের দাপটেই টার্গেটের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি রাহুল-নায়ার-পাণ্ডেরা। শেষমেশ ১৭৭ রানেই থেমে গেলেন তাঁরা। ফাইনালে ওঠার ম্যাচে সেরার শিরোপা যায় অনুষ্টুপের কাছে।

১৬ ১৬
শেষ বার ২০০৬-’০৭ মরসুমে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। দীপ দাশগুপ্তের অধিনায়কত্বে ফাইনালে উঠলেও ট্রফি অধরাই থেকে গিয়েছে সে বার। এ বার কি বদলাবে ছবিটা? ঈশান-আকাশ-মুকেশরা কিন্তু স্বপ্নপূরণের আশা দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন।

শেষ বার ২০০৬-’০৭ মরসুমে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। দীপ দাশগুপ্তের অধিনায়কত্বে ফাইনালে উঠলেও ট্রফি অধরাই থেকে গিয়েছে সে বার। এ বার কি বদলাবে ছবিটা? ঈশান-আকাশ-মুকেশরা কিন্তু স্বপ্নপূরণের আশা দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy