ছবি আইপিএল
হায়দরাবাদ পয়েন্ট টেবলের সবচেয়ে নীচে থাকা দল। যাদের প্লে-অফ খেলার সুযোগই নেই। অথচ কিছুই হারানোর নেই অবস্থাতেও ওরা এমন ক্রিকেট খেলছে যার মধ্যে সাহস বলে কিছু নেই। যা বিস্ময়কর। পঞ্জাবের ১২৫ তাড়া করতে নেমেও শনিবার অদ্ভুত ভাবে গুটিয়ে গেল। কে বলবে, এ বারের আইপিএলে পঞ্জাবের সঙ্গে প্রথম দফায় প্রায় একই লক্ষ্যে নেমে হায়দরাবাদ হাসতে হাসতে ম্যাচটা জিতেছিল।
এ বার একেবারে উল্টো ছবি। তার কারণ যতটা না ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মে না থাকা, তার চেয়ে বেশি জনি বেয়ারস্টোর অনুপস্থিতি। বেয়ারস্টোর জন্য কিন্তু এই হায়দরাবাদই আইপিএলে এ বার দারুণ শুরু করেছিল।
খারাপ সময়ে একজন ক্রিকেটারের কোনও কিছুই ঠিক হয় না। সে যদি ব্যাটার হয়, তা হলে বারবার অদ্ভুত আউট হতে থাকে। মরুশহরে প্রথম ম্যাচে ওয়ার্নার খোঁচা মেরে ফিরেছে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধেও মহম্মদ শামির অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেট দিয়ে এল। হতে পারে পরের ম্যাচে ওয়ার্নারের জন্যই হায়দরাবাদ হয়তো দারুণ শুরু করবে, তাতিয়ে দেবে অন্যদেরও। আসলে এখন ওয়ার্নারদের দরকার সুসংগঠিত ব্যাটিং। মারকুটে মনোভাব নয়। টেকনিক ভাল হলেই ওরা বেশি রান পেতে পারে।
সোমবার হায়দরাবাদের প্রতিপক্ষ রাজস্থান কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে। তার কারণ ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের প্রবণতা ওদের কম। তবে রাজস্থানও এই পর্বে মাঝেমধ্যেই অদ্ভুত ক্রিকেট খেলেছে। গণমাধ্যমে অনুগামী বাড়ানোতেই যেন ওদের বেশি আগ্রহ। সঞ্জু স্যামসনের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব অন্যদের এটা বোঝানো যে, মাঠে ভাল খেলার জন্যই ‘ভাইরাল’ হওয়াটা কাম্য।
তিনজন সেরা ক্রিকেটারকে হারানোটা রাজস্থানের কাছে একটা ধাক্কা। বেন স্টোকস, জস বাটলার ও জফ্রা আর্চার যে কোনও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। তবু অন্যদের উচিত স্টোকসের মতোই ম্যাচের প্রতি সেকেন্ডে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া। স্টোকসই এই মুহূর্তে সেরা অলরাউন্ডার। ও কিন্তু অন্য কোনও চটকের জন্য বিখ্যাত হয়নি।
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কার্তিক ত্যাগীর শেষ ওভারটা ক্রিকেট রূপকথায় পরিণত হয়েছে। তবে সে সবই এখন ইতিহাস। ওকে আবার একই বোলিং করতে হবে। সেটা পারলেই একমাত্র রাজস্থান প্লে-অফে খেলবে।
(টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy