ছন্দে: বালিতে টুর ফাইনালসে জয়ের পথে সিন্ধু। ছবি পিটিআই।
ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসের নকআউটে উঠলেন পি ভি সিন্ধু। আর গ্রুপের দু’জন নাম তুলে নেওয়ায় সেমিফাইনালের টিকিট পেয়ে গেলেন লক্ষ্য সেন। যদিও বুধবার তিনি হেরেছেন। এ দিকে, নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে না পারায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ল কিদম্বি শ্রীকান্তের ভাগ্য।
সিন্ধুই একমাত্র ভারতীয় যিনি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালস খেতাব জেতেন ২০১৮-তে। তারও আগের বছর অবশ্য ফাইনালে হেরেছিলেন। বুধবার বালিতে গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচে জার্মানির ইভন লি-কে হারাতে ভারতীয় তারকা নিয়েছেন মাত্র ৩১ মিনিট। ২১-১০, ২১-১৩। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচেও তিনি একই রকম দাপট নিয়ে জেতেন ডেনমার্কের লিন ক্রিস্টোফারসেনের বিরুদ্ধে। ২১-১৪, ২১-১৬। সিন্ধু গ্রুপে শেষ ম্যাচ খেলবেন পরনপাউয়ি চোচুয়ংয়ের সঙ্গে। তাইল্যান্ডের যে খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে হালফিলে তাঁর পারফরম্যান্স বেশ ভাল। ভারতীয় ব্যাডমন্টিন মহলের ধারণা, দু’টি অলিম্পিক্স পদকজয়ী তারকা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউটে যাবেন।
এ-গ্রুপে জাপানের কেন্তো মোমোতা এবং ডেনমার্কের রাসমাস জেম চোট পেয়ে নাম তুলে নেওয়ায় লক্ষ্যর সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত ছিল। বুধবার অলিম্পিক্স চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে ১৫-২১, ১৪-২১ হেরে গ্রুপে দ্বিতীয় হলেন ভারতীয় তরুণ। দিনের শুরুতেই বিশ্বের ১৪ নম্বর শ্রীকান্তের ম্যাচ হয়। তিনি ২০১৪-তে ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে নকআউটে খেলেছিলেন। এ বার কিন্তু তাঁর পরের পর্যায়ে খেলা কঠিন হয়ে গেল তিন বারের জুনিয়র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তাইল্যান্ডের কুনালভাত ভিতিদশার্নের কাছে হেরে (১৮-২১, ৭-২১)।
শ্রীকান্তের মতোই হেরেছেন মহিলাদের ডাবলসে ভারতীয় জুটি অশ্বিনী পোনাপ্পা ও এন সিক্কি রেড্ডি। তাঁদের বিরুদ্ধে বুলগেরিয়ার গ্যাব্রিয়েলা স্তোয়েভা-স্তেফানি স্তোয়েভা জুটি জেতে ১৯-২০, ২০-২২ । বুধবার প্রথম ম্যাচেও হারায় অশ্বিনীদের নকআউটে খেলার সুযোগ থাকল না। খারাপ খবর, পুরুষদের ডাবলসেও। সাত্ত্বিকসাইরাজ রানকিরেড্ডি-চিরাগ শেট্টি ওয়াকওভার দিয়ে প্রতিযোগিতা থেকেই বেরিয়ে গেলেন। সাত্ত্বিক হাঁটুতে চোট পাওয়ায়।
এ দিকে, ভারতের প্রাক্তন ডাবলস কোচ ম্যাথিয়াস বোয়ে গত তিন মাসে পরপর প্রতিযোগিতার জন্য তোপ দেগেছেন বিশ্ব ব্যাডমিন্টন সংস্থার বিরুদ্ধে। সেপ্টেম্বরে আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা ফের শুরু হওয়া থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৪০ জন চোট পেয়েছেন। বোয়ের মতে ঠাসা সূচিই এর কারণ। গণমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘‘খেলোয়াড়দের কথা কি আপনারা আদৌ চিন্তা করেন? চোট পাওয়ার ঘটনা বেড়েই যাচ্ছে, খেলার মানও পড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy