উল্লাস: টানা দুই মরসুম ইপিএল জিতে তৃপ্ত। সোমবার এতিহাদে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোচ গুয়ার্দিওলা। এএফপি
দশ বছরে ম্যানেজার হিসেবে আটবার পেপ গুয়ার্দিওলা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন (২০০৮-’০৯, ২০০৯-’১০ ও ২০১০-’১১)। বায়ার্ন মিউনিখের হয়েও জার্মান বুন্দেশলিগাও তিন বার (২০১৩-’১৪, ২০১৪-’১৫ ও ২০১৫-’১৬) জিতেছেন। চব্বিশ ঘণ্টা আগে ব্রাইটনকে ৪-১ হারিয়ে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জিতলেন। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার। গত মরসুমে ১০০ পয়েন্টে ইপিএল শেষ করেছিলেন। এ বার ম্যান সিটি থামল ৯৮ পয়েন্টে এ ছাড়া বার্সেলোনার হয়ে দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জয় তো আছেই।
সোমবার এতিহাদ স্টেডিয়ামে পুরো দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ইপিএল ট্রফি নিয়ে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টা আগেই ভর্তি হয়ে গিয়েছিল স্টেডিয়াম। ম্যান সিটির জার্সি গায়ে, গলায় স্কার্ফ জড়িয়ে প্রিয় তারকাদের দেখতে হাজির হয়েছিলেন ভক্তেরা। ইংল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম জুড়েও ম্যান সিটি ও গুয়ার্দিওলার বন্দনা। ম্যানেজার হিসেবে তাঁর অবিশ্বাস্য সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করতে কেউ লিখেছে, ‘‘গুয়ার্দিওলা কখনও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বা লিয়োনেল মেসির পিছনে ছোটেননি। তিনি সই করিয়েছেন তরুণ ফুটবলারদের। যাঁরা নিজেদের ক্ষমতার বাইরে বেরিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন।’’ আর একটি বিখ্যাত কাগজে লেখা হয়েছে, ‘‘ইচ্ছে করলেই বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের কিনতে পারে ম্যান সিটি। কিন্তু তারকারা কখনওই বেশি দিন থাকবেন না। প্রত্যেক মরসুমে তাঁদের আর্থিক চাহিদা বাড়বে।’’ গুয়ার্দিওলা নিজে অবশ্য তাঁর দুর্দান্ত সাফল্যের কারণ ব্যাখ্যা করেননি। তাঁর মতে, এ বারের লড়াই অনেক বেশি কঠিন ছিল। গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘‘লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য টানা ১৪টি ম্যাচ জিততে হয়েছিল। আমার কোচিং জীবনের সব চেয়ে কঠিন ছিল এ বারের লড়াই।’’ তিনি যোগ করেছেন, ‘‘গত মরসুমে ম্যান সিটি যে মানে খেলাটাকে নিয়ে গিয়েছিল, তা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছিল দু’মরসুম মিলিয়ে ১৯৮ পয়েন্ট অর্জন করা অসাধারণ।’’
৩৮ ম্যাচে ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছে লিভারপুল। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত উত্তেজনা ছিল চরমে। গুয়ার্দিওলা বলেছেন, ‘‘কঠিন লড়াই আমাদের আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।’’ লিভারপুলের প্রশংসাও করে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘লিভারপুলকে অভিনন্দন। সাধারণত ১০০ পয়েন্ট পাওয়ার পরে ছন্দপতনের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিন্তু ওদের জন্যই আমরা ছন্দটা ধরে রাখতে পেরেছি।’’
বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের ম্যানেজার হিসেবে লিগ জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। ম্যান সিটিতেও কি সেই কীর্তি গড়তে পারবেন ৪৮ বছর বয়সি স্প্যানিশ ম্যানেজার। আত্মবিশ্বাসী গুয়ার্দিওলা বলছেন, ‘‘পরপর দু’টো মরসুম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে মনে হবে, তৃতীয়বারও জিতব। আমার এখন সেই অনুভূতিই হচ্ছে। চেষ্টা করব পরের মরসুমেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy